দিরাই প্রতিনিধি ::
সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান মোহাম্মদ সাফিউর রহমান বলেছেন, হাওরের পাড়াগাঁয়ে মনোরম পরিবেশে বিশাল এরিয়াজুড়ে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির সুরম্য প্রাসাদ ও মনমাতানো পরিবেশ সত্যিই আমাকে অভিভূত করেছে। পাড়াগাঁয়ে এমন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে সেটা আমি কল্পনা ও করিনি। তিনি বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জামিল চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, জামিল চৌধুরী সত্যিই একজন মহান ব্যক্তি। তিনি নিজের কষ্টার্জিত অর্থ, শ্রম আর মেধা দিয়ে দেশের এতিম অসহায় মেয়েদের শিক্ষার পথ সুগম করতে এমন একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। তাঁর এ মহতি কাজ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তার মতো সমাজের বিত্তবানদের শিক্ষার উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।
ডিআইজি শাহ মিজান আরও বলেন আমি যখন এসপি ছিলাম তখন এলাকাবাসীর অনুরোধে নিজ এলাকায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলাম। এখনো সে প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমিকেও আমার নিজের প্রতিষ্ঠানের মতোই মনে করি। যেখানেই থাকি নিজ অবস্থান থেকে একাডেমির সার্বিক কল্যাণে সহায়তা করে যাবো। তিনি এলাকার বিত্তবানসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে একাডেমির উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান।
গতকাল সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জামিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং একাডেমির প্রিন্সিপাল নাজমা বেগম ও ডিএসএস প্রি-ক্যাডেট একাডেমির পরিচালক শাহজাহান সিরাজের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার এহসান শাহ, দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, দিরাই প্রেসক্লাব সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুর, প্রভাষক মোস্তাহার মিয়া। বিকেলে প্রধান অতিথি একাডেমিতে পৌঁছলে একাডেমির চৌকস গার্লসগাইড দল তাঁকে গার্ডঅব অনার প্রদান করে।