গণমাধ্যমান্তরে প্রকাশ, “বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে রবিবার (৩ মার্চ) শুরু হয়েছে ডিসি সম্মেলন। রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে চার দিনব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর এর কার্য-অধিবেশনগুলো চলছে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।” আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং এই উদ্যোগ কোনও প্রকার প্রতিবন্ধকতার মুখে না পড়ে সফলতা লাভ করুক, এই প্রত্যাশা করি। দেশের সাধারণ মানুষও এটাই প্রত্যাশা করেন। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস বলছে, এই দেশের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নয়নের প্রতিটি উদ্যোগকে প্রতিহত এবং এমনকি বানচাল কারার ষড়যন্ত্র হয়েছে এই এদশেরই এক শ্রেণির প্রতিক্রিয়শীল মানুষের দ্বারা। এরা একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলয়ে এই দেশের ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে, পরর্তীতে এই স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছে এবং বর্তমানে অর্থনীতি, রাজনীতি ও সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে, প্রশাসনও এই আধিপত্যের বাইরে নয়। আমরা মনে করি, এই আধিপত্যের ক্রমাগত বিস্তারকে প্রতিরোধ করতে না পারলে ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্য’ সফল হয়ে উঠবে না, বরং এইরূপ রাষ্ট্রকল্যাণধর্মী স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে, যদি না প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকা- পরিচালক দেশদ্রোহীদের প্রতিহত করা যায়।