বিশেষ প্রতিনিধি ::
এক দম্পতির জন্য স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে হাজার হাজার দম্পতির। টেস্টটিউব পদ্ধতিতে সন্তান ধারণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তারা। চিকিৎসক নিবাস চন্দ্র পাল ও শিক্ষিকা দীপশিখা ধর জীবনের শেষ সম্বলটুকু ব্যয় করছেন এই ভালো কাজে।
চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে প্রথম টেস্টটিউব পদ্ধতিতে শিশু জন্ম দেওয়ার চিকিৎসা দিচ্ছে দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার এন্ড কাউন্সিলিং সেন্টার। সিলেট বিভাগে এটিই প্রথম প্রথম চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। সন্তান জন্মদানে অক্ষম নারী পুরুষদের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করে স্বল্প খরচে টেস্টটিউব পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন।
দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার এন্ড কাউন্সিলিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা নিবাস চন্দ্র পাল জানান, দেশের বাইরে গিয়ে যে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে, সেই মানের চিকিৎসা আমরা দীপশিখায় দিচ্ছি। এখানে যাতায়াত খরচও কম। বাড়তি পাওনা হিসেবে দম্পতিরা পর্যটন শহর ও আশেপাশের চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
দীপশিখার চেয়ারম্যান দীপশিখা ধর জানান, তাঁর সেন্টারে ইতোমধ্যে ২৫০ বন্ধাত্ব রোগীর ফার্টিলিটি প্রমোটিং সার্জারি হয়েছে। এর মধ্যে কাক্সিক্ষত সাফল্য পেয়েছেন ২০০ জন। এ ছাড়া প্রতিমাসে ১২০-১৩০ জনের শুক্রানু পরীক্ষা করা হয়।
দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার এন্ড কাউন্সিলিং সেন্টারের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রথমে রোগীদের বন্ধাত্ব কাউন্সিলিং, হরমোন ও বীর্য পরীক্ষা এবং মেডিকেল ট্রিটমেন্ট দিয়ে শুরু করা হয় চিকিৎসা।
চিকিৎসা পদ্ধতি :
পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রানু কম হওয়া এক সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। টেস্টটিউব বেবি, TESE, TESA, PESA, PESE-এর মাধ্যমে দক্ষ এমব্রায়োলজিস্টের সাহায্যে অনেক পুরুষ নিজের শুক্রানুর মাধ্যমেই বাবা হতে সক্ষম। দেরিতে বিয়ে ও কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে দম্পতির বয়স বৃদ্ধি নিঃসন্তান হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। টেস্ট টিউব বেবি (IVF), IUI এর মতো আধুনিক চিকিৎসা দ্বারা অনেক দম্পতি সন্তান ধারণ
করতে সক্ষম হচ্ছেন।
ডিম্বনালী বন্ধ :
মহিলাদের ক্ষেত্রে নিঃসন্তান হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ডিম্বনালী বন্ধ থাকা, চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ায় অপারেশন ছাড়াই মাতৃত্ব লাভের সুযোগ পাচ্ছেন অনেকে।
যারা চিকিৎসা নিতে পারবেন :
যারা আনএক্সেপ্লেইড ইনফার্টিলিতে ভুগছেন, যাদের রিপোর্ট স্বাভাবিক কিন্তু গর্ভ ধারণ করতে পারছেন না। স্বামীর শুক্রানুর সংখ্যা কম হলে। স্ত্রীর ডিম্বনালীতে বাধা বা অন্য কোনো সমস্যা হলে। বারবার IUI, IVF করানোর পরও গর্ভধারণ করতে ব্যর্থ হলে। প্রথম গর্ভধারণের পর আর গর্ভধারণ করতে না পারলে। অনিয়মিত মাসিক, থাইরোয়েড ডিজওর্ডার এবং প্রি ম্যাচিওর ফলিকলার রাপাচারে ভুগলে। বার বার গর্ভপাত হলে।