সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
কারাগারে বসানো আদালতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলবে কি না- সেই সিদ্ধান্ত জানা যাবে ২০ সেপ্টেম্বর। খালেদা জিয়াকে বৃহ¯পতিবারও আদালতে হাজির করতে না পারায় দুদকের আইনজীবী ফৌজদারি আইনের ৫৪০-এ ধারায় আসামির অনুপস্থিতিতেই আদালতের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানালে বিচারক শুনানি শেষে আদেশের এই দিন ঠিক করে দেন।
আর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করার যে আবেদন তার আইনজীবীরা করেছিলেন, সে বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন তার দুই আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও সানাউল্লাহ মিয়া।
আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম এবং মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে আইনজীবী মো. আক্তারুজ্জামান শুনানিতে ছিলেন। আর মামলার বাদী ও তদন্তকারী সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদ-প্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
‘অসুস্থতার কারণে’ তাকে গত সাত মাসে একবারও আদালতে হাজির করতে না পারায় জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ করতে সরকারের নির্দেশে আদালত স্থানান্তর করা হয়েছে কারাগারের ভেতরে, যেখানে তিনি আছেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর বিশেষ জজ আদালতের এই অস্থায়ী এজলাসে শুনানির প্রথম দিন খালেদা জিয়া নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বিচারককে বলেছিলেন, তিনি বার বার আদালতে আসতে পারবেন না, বিচারক তাকে ‘যতদিন খুশি’ সাজা দিতে পারেন।
এরপর বুধবার শুনানির নির্ধারিত দিনে বিচারক আখতারুজ্জামান আদালতে বলেন, “প্রসিকিউশন থেকে জানানো হয়েছে, উনি (খালেদা জিয়া) কোর্টে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। তার মানে, আসতে অনিচ্ছুক।”
এরপর খালেদার অনুপস্থিতিতে এ মামলার বিচারকাজ চলবে কি-না সে বিষয়ে শুনানির জন্য বৃহ¯পতিবার দিন রাখেন বিচারক।