স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওরের ফসলহানীর পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের প্রণোদনা ফুরিয়ে আসার আগেই সহায়তা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। তাছাড়া হাওর বাঁচাও, সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দও এই দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। উদ্বিগ্ন কৃষকের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও হাওরের কৃষকের জন্য প্রণোদনা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত মার্চ মাসে হাওরের আগাম ফসলহানীর পর সরকার দ্রুততম সময়ে হাওরের কৃষকের জন্য সহায়তার উদ্যোগ নেয়। এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই সরকার ওএমএস, বিশেষ ভিজিএফসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেয়। ওএমএস গত মাসেই শেষ হয়ে গেছে। বিশেষ ভিজিএফও চলতি মাসে শেষ হওয়ার কথা। তাছাড়া বেসরকারি ত্রাণও আর আগের মতো পাচ্ছেনা হাওরবাসী। ফলে ফসলহারা কৃষককে উদ্বিগ্ন দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দফতর ফসলহারা কৃষকের সহায়তার জন্য প্রণোদনা দেবার লিখিত আবেদন জানিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে। তবে এখন পর্যন্ত প্রণোদনা বৃদ্ধির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
সদর উপজেলার ব্রম্মোত্তর গ্রামের কৃষক নূর উদ্দিন বলেন, ফসল হারিয়ে সকল কৃষকের একই অবস্থা। সরকারি যেসব সহায়তা চালু ছিল তাও বন্ধের পথে। এখন কৃষকের সামনে অন্ধকার। সহায়তার মেয়াদ বৃদ্ধি না হলে কৃষক নতুন খাদ্য সংকটেরর মুখে পড়বে বলে জানান তিনি।
‘হাওর বাঁচাও, সুনামগঞ্জ বাঁচাও’ আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, হাওরের কৃষকের অবস্থা এবছর সত্যি সত্যিই খারাপ। স্বচ্ছল-অস্বচ্ছল সবার ঘরেই একই চিত্র। আমরা অসহায় কৃষকদের সহায়তা বৃদ্ধির জন্য সরকারকে স্মারকলিপি দিয়েছি। মানবন্ধন করেছি। বেসরকারি ত্রাণ সহায়তাকারীদেরও অনুরোধ জানিয়েছি।
তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, কৃষকের সহায়তা দ্রুত বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ হাওরের কৃষকের অবস্থা ভালো নয়। তাদেরকে খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা না হলে আগামীতে অবস্থা ভয়াবহ হবে।