1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : আ.লীগ-বিএনপি’র গলার কাঁটা স্বতন্ত্র প্রার্থী

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বিশেষ প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে গেলবার উপজেলায় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী আদর্শের তরুণ রাজনীতিক মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা। গঠনমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য, প্রগতি, বিজ্ঞান ও উন্নয়ন মনস্ক এবং জনদরদী চিন্তাসহ নানা কারণে তিনি উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় তিন বছর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। যার ফলে উপজেলার তৃণমূল মানুষের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এই সম্পর্ক এখনো ধরে রেখেছেন তিনি। সম্প্রতি মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে ভোটারদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। হাওরের কৃষক ও সাধারণ মানুষের প্রতি তার বিভিন্ন সময়ের ত্যাগ ও মমত্ববোধ ঘুরে ফিরে আসছে আলোচনায়। হাওরের কৃষকদের দাবি-দাওয়া ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের সঙ্গী হিসেবে মুক্তাদীর আহমদ দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কিত। তিনি সবসময় বিভিন্ন ফোরামে কৃষকের দাবিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। তার বক্তব্যে খুশি কৃষকসমাজ। আগামী ৬ মার্চের নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা এসব বিষয় মাথায় রেখেই মুক্তাকে বিশেষ বিবেচনায় রেখেছেন বলে জানা গেছে।
কৃষক ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জানান, গত বছর সুনামগঞ্জের হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন মুক্তাদীর আহমদ। বাঁধরক্ষা কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে যখন গত বছর এপ্রিল মাসে হাওরের নড়বড়ে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয় তখন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কৃষকদের নিয়ে সোচ্চার হন মুক্তা। তিনি রাতদিন বাঁধে অবস্থান করে কৃষকদের নিয়ে বাঁধরক্ষার কাজ করেন।
জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে জগন্নাথপুরের নলুয়ার হাওর ফসলরক্ষা বাঁধ পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট পানির চাপে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। কাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে নলুয়ার হাওরের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভাঙতে শুরু করে। একই সময়ে উপজেলার মইয়ার হাওরের বাঁধেও ফাটল দেখা দেয়। এই খবর পেয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা হাওরে ছুটে যান। কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে দিনভর বাঁধে অবস্থান করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেন। এর আগে তিনি একের পর এক হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে শঙ্কিত কৃষকের কথা বিবেচনা করে ওই সময় উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা বন্ধ করে বাঁধে গিয়ে কৃষকদের নিয়ে কাজ করেন। পরিষদ নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বাঁধ রক্ষায় এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। তার আহ্বানের প্রেক্ষিতে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাঁধে কাজ করার নির্দেশনা দেয়। তাছাড়া দায়িত্ব পালনকালীন যারাই তার কাছে গিয়েছিল সবাইকেই সাধ্যমত সহযোগিতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সবাই তার বিনয় ও সততা নিয়ে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলছেন। নির্বাচনী মাঠে তার আনারস প্রতীক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, ওই সময় অন্যরা হাওরের বাঁধে কিছুক্ষণ অবস্থান করে চলে গেলেও মুক্তাদীর আহমদ রাত-দিন বাঁধে অবস্থান করতেন। হাওরের কৃষকরা বাড়ি থেকে খাবার এনে তাকে খাওয়াতেন। সর্বাত্মক চেষ্টা করেও বাঁধ রক্ষা করতে না পারায় মুক্তা পরবর্তীতে সরকারি-বেসরকারি ফোরামে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের জন্য কথা বলেন। এভাবে এখনো কৃষকদের দাবি-দাওয়া, ভর্তুকি ও ক্ষতিপূরণের জন্য এখনো কথা বলে চলছেন মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা।
জানা গেছে, মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার পর তার কৃষকদের প্রতি এই অকৃত্রিম দরদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এসব কারণে তার জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে বেকায়দার আছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আকমল হোসেন ও বিএনপি প্রার্থী মো. আতাউর রহমান। তিন প্রার্থীই সমানে সমান হওয়ায় লড়াইয়ের আভাস পাচ্ছেন ভোটাররা।
পাড়ারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, এলাকার তরুণ প্রজন্মের সবাই মুক্তাদীর আহমদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। মুরব্বিসহ সর্বস্তরের জনতা তাকে ¯েœহ করেন। একজন সৎ, বিনয়ী ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আমরা তার সঙ্গে প্রচারণায় নেমেছি। তিনি নির্বাচনী মাঠে মূল লড়াইয়ে রয়েছেন।
সাদিপুর গ্রামের মুরুব্বি আব্দুল হান্নান বলেন, একজন যোগ্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা মুক্তাদীর আহমদকে বেছে নিয়েছি। গত সাত বছর আমরা তার কাছ থেকে সাধ্যমতো সেবা-সহযোগিতা পেয়েছি। তিনি জনগণকে আপন করে নিয়েছিলেন। এমন জনপ্রতিনিধিই আমরা চাই। তিনি বলেন, গত বছর যখন অন্যান্য নেতারা হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ ভাঙ্গার সময় কৃষকদের থেকে দূরে ছিলেন মুক্তা তখন রাতদিন কৃষকের পাশে থেকে বাঁধে কাজ করতেন। আমরা সেসব কথা আমরা ভুলি নাই।
জগদীশপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার বলেন, উচ্চশিক্ষিত, ভদ্র ও বিনয়ী এবং ভালো বক্তা হিসেবে পুরো উপজেলার মানুষ তরুণ প্রার্থী মুক্তাকে ভালোবাসেন। একজন কৃষকবন্ধু ও প্রকৃত জনদরদী নেতা হিসেবে আমরা তাকে চেয়ারম্যান পদে সমর্থন দিয়েছি।
মুক্তাদীর আহমদ বলেন, জনতাই আমার শক্তি। জনতার ভালোবাসা ও আস্থায় প্রার্থী হয়েছি। সর্বস্তরের জনতা যেভাবে আমাকে হৃদয় থেকে গ্রহণ করেছেন তাতে আমি আনন্দিত। আশা করি জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে সকল অন্যায়-অবিচারের জবাব দিবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com