সুনামগঞ্জে বিভিন্ন নৌপথে অবাধে চলছে চাঁদাবাজি। বেপরোয়া চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নৌযান মালিক, শ্রমিক এবং মাঝিরা। এসব চাঁদাবাজরা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন সংগঠন, ইউনিয়ন পরিষদ ইত্যাদি নামে রশিদ তৈরি করে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে থাকে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নৌকার মাঝি-শ্রমিকদের মারধর, নৌকার মূল্যবান জিনিস নিয়ে যাওয়া কিংবা নৌকা আটকে রেখে দেয়।
সম্প্রতি তাহিরপুরের পাটলাই নদীতে বেড়েছে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য। রাতের অন্ধকারে নদীতে মাটি ফেলে নৌচলাচলে বিঘœতা সৃষ্টি করে তারা। ফলে পাটলাই নদীর ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ নৌ-যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে চাঁদাবাজরা নৌকাগুলো থেকে চাঁদা আদায় করে থাকে। শুধু চাঁদাবাজি নয়, দিন-দুপুরে ডাকাতিও বলা চলে। চাঁদাবাজরা ছোট ছোট নৌকা করে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নৌ-যান চলাচলেও বাধা দিয়ে চাঁদা আদায় করছে। সৃষ্ট নৌজটে আটকে থাকা নৌকা থেকে ‘সেন্ট্রি’র নামে ক্ষেত্র ভেদে প্রতি নৌকা থেকে দেড় থেকে দু’হাজার টাকা চাঁদা আদায় একটি সিন্ডিকেট। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। নৌ-জট সৃষ্টি করে পাশাপাশি আটকে পড়া নৌকা থেকে কয়লা আনলোডের নাম ধরে ছোট নৌকায় কিছু কয়লা পরিবহন করে পাটলাই নদীর দক্ষিণ দিকে এক কিলোমিটারের মধ্যে সুরমা নদীর মোহনায় পৌঁছে দিয়ে প্রতি নৌকা থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তাছাড়া আরো অভিযোগ, যে সকল নৌকার মাঝি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। তাদের অত্যাচারে ইতোমধ্যেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠছেন ভুক্তভোগীরা। চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে প্রশাসন এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।