জনবল সংকটে ভুগছে জেলা সমবায় অফিস। জেলা সমবায় কর্মকর্তাসহ অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় উন্নয়নের কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। শূন্য পদগুলোর মধ্যে জেলা সমবায় কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক, ডেপুটি সমবায় কর্মকর্তা, হিসাব রক্ষক, সরেজমিন কর্মকর্তা, অফিস সহকারি এবং কোষাধ্যক্ষর মত গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদই দীর্ঘদিন ধরে খালি। তা ছাড়া জেলার ১১টি উপজেলা অফিসেও জনবল সংকট রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক সুনামকণ্ঠ পত্রিকায়।
প্রায় দুই বছর ধরে শূন্য পদে জনবল না থাকায় নজরদারির বাইরে রয়েছে প্রায় একহাজার সমবায় সমিতি। বিআরডিবির অধীনে আরো দুইহাজার দুইশত পঁচিশটি সমিতি। এসব সমিতিগুলো নিয়মিত মনিটরিং ও নার্সিংয়ের দায়িত্ব পালন করে থাকেন সমবায় কর্মকর্তারা কিন্তু এসব পদ শূন্য থাকায় এগুলোর কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে।
২০১৪ সাল থেকে সমবায় কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সিলেট জেলা সমবায় কর্মকর্তা। তিনি মাসে ৩-৪ দিন সুনামগঞ্জ অফিসে এসে কাজ করলেও প্রায় ষোলআনা কাজই ঝুলে থাকে। তাছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা ‘এ’ ক্যাটাগরি জেলা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে এ জেলায় বাস্তবায়িত পল্লী আশ্রয়ন প্রকল্প ও সার্বিক গ্রাম উন্নয়ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে সমবায় অধিদপ্তর। দাতা সংস্থা হচ্ছে জাইকা, এডিপি, এলজিইডি বিভাগের ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসব কার্যক্রমের সাথে ও সরাসরি সমবায় বিভাগ জড়িত।
গত কয়েক বছর ধরে সরকারের এটুআই প্রকল্পের অধীনে জেলার ১১টি উপজেলায় বিশেষ করে আইডিয়া পাইলটিং প্রজেক্টের সাথে যুক্ত সমবায় বিভাগ। এগুলো সমবায় বিভাগের স্থানীয় অফিস নিয়মিত মনিটরিং হওয়ার কথা থাকলেও তা জেলা সমবায় অফিস থেকে সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে সমবায় সমিতিগুলোই সম্পূর্ণ নজরদারির বাইরে রয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এসব সমিতিগুলোর কার্যক্রম স্থবির এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীর বদলে মধ্যস্বত্বভোগীরা ফায়দা লুটছে।
জেলার এ গুরুত্বপূর্ণ সমবায় অফিসটি সার্বিক কার্যক্রম চালু রাখতে না পারলে সরকারের যে উন্নয়নের ভিশন তা সম্ভব হয়ে উঠবে না। তাই দপ্তরটিতে জরুরি ভিত্তিতে শূন্যপদগুলো পূরণ করা উচিত। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।