স্বপ্নের কুশিয়ারা সেতু আমাদের নতুন নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। গত ১৫ জানুয়ারি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পরপরই এলাকার জনগণ নতুন নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। সেতুটি নির্মিত হলে ঢাকার সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলার যোগাযোগ সমৃদ্ধ হবে। দূরত্ব কমে আসবে বর্তমানের চেয়ে প্রায় অর্ধেক। কৃষি ও অর্থনীতিতে উন্নয়ন সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে জেলার কৃষিপণ্য মৎস্য, পাথর, রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে দ্রুত ও কম সময়ে আমদানি-রপ্তানি করা সহজ হবে। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সুনামগঞ্জ জেলা উন্নয়নে এগিয়ে যাবে। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবো আমরা।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর যোগাযোগ সুবিধা দিতে এবং উন্নয়নের কথা বিবেচনা রেখে নির্মাণ কাজ শুরু করে। যখন সড়ক নির্মাণের মধ্যদিয়ে জেলাবাসী সহজে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগের স্বপ্ন দেখা শুরু করে, তখনই ক্ষমতার পালা বদলে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর উন্নয়নের এই স্বপ্নের সেতুর কাজটি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে পুনরায় মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেতুটি নির্মাণে উদ্যোগী কার্যক্রম শুরু হতে চলছে।
৭০২.৭২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০.২৫ মিটার প্রস্থ এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১২৬ কোটি টাকা। বক্সগার্ডার এই সেতুটি ২০১৪ সালের ২৫ জুন একনেকে পাস হয়। সর্বশেষে দরপত্র আহ্বান হলে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে।
ব্যবসা ও যোগাযোগের সম্ভাবনা নিয়ে তৈরি হচ্ছে আমাদের স্বপ্নের সেতু কুশিয়ারা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কুশিয়ারা সেতু নির্মাণ হবে এটাই প্রত্যাশা।