স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে গত এক মাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এক ডজনের বেশি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। আহত হয়েছেন আরো কয়েক শতাধিক ব্যক্তি। সংঘর্ষগুলো জায়গা-জমি, আধিপত্য বিস্তার ও জলমহাল দখলের জের ধরে ঘটেছে। এছাড়াও ছাতকে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় পৃথক মামলা হলেও অধিকাংশ আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।
জানা গেছে, গত ২ জানুয়ারি শহরতলির মাইজবাড়ি এলাকায় আধিপত্য ও বিল সেচ নিয়ে বিরোধের জের ধরে খুন হন একজন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে আটক করে পুলিশ। ৩ জানুয়ারি তাহিরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে ১৫, ৬ জানুয়ারি ধর্মপাশায় জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১০জন আহত হন।
১১ জানুয়ারি দক্ষিণ সুনামগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত, ১৩ জানুয়ারি ধর্মপাশায় ১০জন, ১৫ জানুয়ারি বিশ্বম্ভরপুরে পৃথক সংঘর্ষে ৮জন, ১৭ জানুয়ারি দিরাই উপজেলা কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারলিয়া জলমহালে বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জন নিহত হন। এ ঘটনায় এখনো দিরাইয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
২১ জানুয়ারি দক্ষিণ সুনামগঞ্জে কবরস্থানের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়। ২৮ জানুয়ারি শাল্লা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ৪০জন আহত হয়। ২৬ জানুয়ারি ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় এক ফল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এসব বড় সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া ছোট ছোট সংঘর্ষে আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে আহত অনেকেই এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানুয়ারি মাসে দিরাইয়ে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ছিল আলোচিত। এই বিষয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আলোচিত ঘটনায় একজন আসামিকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এসব ঘটনা প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সুধীজন।