দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এ থেকে মুক্তি পেতে আইনের বাস্তবায়ন অপরিহার্য। ২০১২ সালে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া তৈরি হলে আজও এর বাস্তবায়ন হয়নি।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নামক সংগঠন থেকে প্রকাশিত ‘নিরাপদ’ নামে একটি স্মরণিকার তথ্যসূত্রে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক দুর্ঘটনায় গত তিন বছরে ১৫ হাজার ৭২৯ জন নিহত এবং ২২ হাজার ১৯২ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই আবার চিরতরে পঙ্গু হয়েছেন। নিরাপদের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে ২০১৪ সালে ২ হাজার ৭১৩টি, পরের বছর দুর্ঘটনার সংখ্যা ৮৭টি কমে হয়েছে ২ হাজার ৬২৬টি, গত বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে ২ হাজার ৬২টি থেকে আরও ৩১০টি কমে দুর্ঘটনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩১৬টি।
২০১৪ সালের তুলনায় পরের দুই বছরের দুর্ঘটনার সংখ্যা গড়ে ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ হারে কমেছে। এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছেন তারা ৬টি জাতীয় দৈনিক, নিসচার কর্মী-সংগঠক এবং টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত খবরের মাধ্যমে।
দুর্ঘটনার সংখ্যা কমলেও এটি যে সহনীয় পর্যায়ে তা বলা যাবে না। দুর্ঘটনার কারণ সমূহ উল্লেখ করতে গিয়ে বিজ্ঞজনরা মনে করেনÑ পথচারী কিংবা যাত্রীদের সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা, গাড়ির চালকদের প্রশিক্ষণতার অভাব, আইনের সঠিক প্রয়োগ না হাওয়া ইত্যাদি কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যে সম্ভব আমরা তা বলছি না, তবে এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিকতার পাশাপাশি কঠোর সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণায় আসা সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো বিবেচনায় নিয়ে তা একেবারে কমিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।