মো. আমিনুল ইসলাম ::
পুলিশের রুটিন কাজের বাইরেও থাকে কিছু সামাজিক দায়িত্ববোধ। হয়তো কেউ সে দায়িত্বশীলতাকে সময়ের অভাবে গুরুত্ব না দেয়ার পক্ষে। আবার এমন কেউ কেউ থাকেন যাদের কর্মকা-ে কেবল ব্যক্তি হিসেবে তিনি নিজে একা প্রশংসিত নন। সুনামের ভাগিদার হয় পুরো পুলিশ বিভাগ। এমনই এক পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী। যিনি সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সুযোগ হলেই অফিসের কাজ সেরে যিনি সময় ব্যয় করেন এলাকার সম্বলহীনদের সহায়তায়। রোববার রাতের অন্ধকারে এমনই এক কার্যক্রমে দেখা যায় ওসি হারুনুর রশিদকে। শহরের বিভিন্ন সড়কের পার্শে শীতের তীব্রতায় জড়োসরো হয়ে ঘুমিয়ে থাকা অসহায় শীতার্তদের মাঝে তিনি শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন। সদর মডেল থানার এসআই ইমতিয়াজ সরকারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি শহরের কাজিরপয়েন্ট, ডিএস রোড, পুরাতন বাসস্টেশন রোড, আলফাত স্কয়ার, পূর্ব বাজার, হোসেন বখ্ত চত্বর, নতুন বাসস্টেশন এলাকায় ঘুরে ঘুরে শীতার্ত অসহায়দের মাঝে শতাধিক কম্বল বিতরণ করেন। এসময় ওসি হারুনের এমন কর্মকা-কে সড়কে যাতায়াতকারি পথচারিরাও সাধুবাদ জানান। সদর মডেল থানার এসআই ইমতিয়াজ সরকারের দেয়া তথ্যে, রোববার রাত ১১টা থেকেই হাতের কাজ সেরে কম্বল নিয়ে সড়কে বেড়িয়ে পরেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। রাতব্যাপী শহরের নাগরিকদের নিরাপত্তার দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি নিয়োজিত ছিলেন আরো এক দায়িত্বে। আর সেটা অসহায় শীতার্তদের খোঁজ।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের প্রতি মানুষের সামাজিক দায়িত্ববোধ রয়েছে, আমি পুলিশ হলেও সবচেয়ে বড় পরিচয়টা হচ্ছে আমি একজন মানুষ, আর সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্যই আমরা কাজ করি। প্রত্যেকের নির্ধারিত দায়িত্বের বাইরেও কিছু দায়িত্ব থাকে, আর এর জন্য যে কেবল অর্থের প্রয়োজন তা কিন্তু নয়, ইচ্ছেটাও থাকা চাই। আমার পেশার বাইরে যে ভালো কাজটাই আমি করবো সেটা সৃষ্টিকর্তা দেখবেন, আর সে কাজটার জন্য কিছু পাওয়ার থাকলে সেটা সৃষ্টিকর্তাই দেবেন। আমরাই সমাজকে সাজিয়ে তুলতে পারি, যদি সবাই মন থেকে চাই এবং ছোট ছোট ভালো কাজগুলোর সঙ্গে থাকি। সাধ্যের মধ্যেই যতোটা পারা যায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ, আর এটা যেনো কোনো লোক দেখানো না হয়’।