স্টাফ রিপোর্টার ::
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বলেছেন, ‘বাঙালি ও বাংলাদেশের অপর নাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্বনেতা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, ১৬ কোটি বাঙালির বিস্ময়ের নাম বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ১৬ কোটি মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। জানুয়ারি মাস আমাদের গৌরবের মাস। এ মাসের ১০ তারিখ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মুখে যা বলেন কাজে তা বাস্তবায়ন করেন। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় বসে থাকতে তিনি চান না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য দেশের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে বিশাল কর্মযজ্ঞের সূচনা সৃষ্টি হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। পদ্মা সেতু নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়ন হবে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রয়োজন হয় নি।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের আহমদাবাদ উত্তর মাঠে তাঁকে দেয়া এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় অষ্টগ্রাম আহমদাবাদ উন্নয়নের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা আমি করব। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেন জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং নৈরাজ্যকে প্রতিহত করে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, ঢাকায় গিয়ে সুনামগঞ্জের প্রতিটি উপজেলা এবং ইউনিয়নে পরিপূর্ণভাবে বিধবা, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করব। এছাড়া সুনামগঞ্জের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য আমি চেষ্টা করব। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করুন। সন্ত্রাস, নৈরাজ্যকে প্রতিহত করতে পারলে আলোকিত সুনামগঞ্জ দেখতে পাবেন। তিনি কবিতার ভাষায় বলেন, “যাবার বেলায় বলে যেতে চাই, যা পেয়েছি তার তুলনা নাই”। তিনি বলেন “ভালবাসা আছে বলেই পৃথিবীটা এতো সুন্দর”।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালামের সভাপতিত্বে এবং আবু বকর আল-আমিনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাচনাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, জেলা জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী খুশনুর, জাপা নেতা মনির উদ্দিন মনির, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি কামাল রেজা, ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রনজিৎ চৌধুরী রাজন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক মো. আশিক আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা কলিম উদ্দিন আহমদ এবং গীতাপাঠ করেন চয়ন তালুকদার। মানপত্র পাঠ ও হস্তান্তর অষ্টগ্রাম আহমদাবাদ মাদরাসার শিক্ষক মো. ফজলুল হক চৌধুরী। এর আগে প্রতিমন্ত্রী অষ্টগ্রাম আহমদাবাদ মাদরাসায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। অষ্টগ্রাম মাদরাসার পক্ষ থেকেও মন্ত্রীকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।
এর পূর্বে সকালে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ সুনামগঞ্জের সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা), সুনামগঞ্জ অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল ও সুনামগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, এনডিসি সোহেল রানা, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক খান মোতাহার হোসেন, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিকারী সহকারী উপ-সচিব হাবিবুর রহমান। পরিদর্শন শেষে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জানান অটিস্টিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুলের স্থায়ী করা হবে ও তাদের যথাযথ ভাতা প্রদান করা হবে।
সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) জন্য তাদের সমস্যা দেখা হবে, অতিশীঘ্রই সুনামগঞ্জে সমাজসেবা কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান। সুনামগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতালের তৈরি জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠালে তিনি তা দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন বলে আশ্বাস দেন।