মো. শাহজাহান মিয়া ::
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। শেষ সময়ের প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছেন প্রার্থীরা। নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রার্থীরা সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন। জনপ্রতিনিধি ভোটাররা অনেক সচেতন। তারাও নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ কষতে শুরু করেছেন। প্রার্থীদের সমর্থকরাও বসে নেই। তারাও তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে।
জানাগেছে, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে জগন্নাথপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের ১১৭ জন জনপ্রতিনিধি ভোটার রয়েছেন। ১০ নং ওয়ার্ডে জগন্নাথপুর পৌরসভা ও কলকলিয়া ইউনিয়নের সাথে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের দুর্গাপাশা, পূর্ব বীরগাঁও ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ৩৯ জন ভোটার রয়েছেন। ১১নং ওয়ার্ডে জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি, মিরপুর, চিলাউড়া-হলদিপুর, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া, আশারকান্দি ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের মোট ৯১ জন ভোটার রয়েছেন।
১০নং ওয়ার্ডে জেলা পরিষদ সদস্য পদে হাজী আব্দুল জব্বার, মাহতাবুল হাসান সমুজ, সুহেল মিয়া, এমদাদুর রহমান তালুকদার এমদাদ, আব্দুল মতলিব চৌধুরী, শহিদুর রহমান শহিদ, ছালেক মিয়া, নুরুল আমিন। ১১ নং ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী আবুল হোসেন লালন, শাহজাহান সিরাজ ও সৈয়দ সাব্বির মিয়া। সংরক্ষিত ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডে নারী সদস্য প্রার্থী সাবরিনা সুলতানা হালিমা ও রওশন আরা বেগম।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ভোটারদের মধ্যে অনেকে জানান, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এ পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে নুরুল হুদা মুকুট ও অপর প্রার্থী জগন্নাথপুরের সন্তান ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য হিসেবে দুই প্রার্থী থাকায় তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ১০ ও ১১নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা নিজেদের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে অনেকে টাকার বিনিময়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে সব মিলিয়ে জগন্নাথপুরে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে।