1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

নিরাপত্তার ঘেরা টোপে আসছে শহর : চলছে সিসি ক্যামেরা স্থাপন

  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬

মো. আমিনুল ইসলাম ::
নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে ও অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে শনাক্ত করতে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কসমূহ। ইতিমধ্যে শহরের ব্যস্ততম এলাকা হোসেন বখ্ত চত্বর, ষোলঘর পয়েন্ট, কাজিরপয়েন্ট, ট্রাফিক পয়েন্ট, ময়নার পয়েন্ট, পুরাতন বাসস্টেশন, কালীবাড়ি মোড়কে আনা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। এসব পয়েন্ট দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি থাকছে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের। ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু করে গতকাল শনিবার পর্যন্ত এসব পয়েন্টে ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
শহরের সুধীজন সিসি ক্যামেরা স্থাপনে সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে ওইসব এলাকায় যাতায়াতকারীদের গতিবিধির উপর পুলিশের নজরদারি থাকবে ও সহজেই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
জানাগেছে, সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে শহরের রিভারভিউ, থানা সম্মুখ এলাকা, নতুন কোর্ট পয়েন্ট, হাজীপাড়া মোড়, সার্কিট হাউজ এলাকা, এলজিইডি সম্মুখ সড়ক, র‌্যাব ক্যাম্প সম্মুখ পয়েন্ট ও আব্দুজ জহুর সেতু এলাকা।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের আর্থিক সহযোগিতায় স্থাপনকরা এসব ক্যামেরা ফুটেজের মনিটরিং করা হবে ২টি স্থান থেকে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মনিটরের মাধ্যমে এসব এলাকার উপর নজর রাখবে পুলিশ। এছাড়া শহরের এসব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহের ফুটেজ মনিটরিং করবে জেলা প্রশাসন। এজন্যে মনিটর স্থাপন করা হবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুরো শহরের সকল গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। এটি বাস্তবায়নের আর্থিক সহযোগিতা করছে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স। ক্যামেরা স্থাপনকৃত এলাকাসমূহে নজরদারি রাখবে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। এতে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা যাবে সহজেই।
হোসেন বখ্ত চত্বর এলাকার ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান রুবেল বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় আমরা খুশি হয়েছি। এতে নজরদারি আরও জোরদার হবে। এছাড়া অপরাধের মাত্রা অনেক কমে যাবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।
সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ.টি. অটোমেশন লিমিটেডের কর্মকর্তা মোকাম্মেল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা গত ১৫ নভেম্বর থেকে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করেছি। ১৭টি স্পটের মধ্যে আমরা ষোলঘর থেকে শনিবার সারাদিনে পুরাতন বাসস্টেশন পর্যন্ত ক্যামেরা স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। ক্যামেরা লাগবে আরও কয়েকটি পয়েন্টে। এগুলো হলো রিভারভিউ, থানার সামনে, নতুন কোর্ট এলাকা, হাজীপাড়া মোড়, সার্কিট হাউজ এলাকা, এলজিইডির সামনের সড়ক, র‌্যাব ক্যাম্পের সম্মুখে ও আব্দুজ জহুর সেতু এলাকায়। এগুলোর মনিটর বসবে একটা সদর থানায় এবং আরেকটা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ.টি. অটোমেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ চৌধুরী বলেন, ‘১০লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা শহরের ১৭টি স্পটে মোট ৩২টি ক্যামেরা লাগানোর চুক্তিতেই আমরা কাজ করছি। যেসব ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে তা চীন থেকে আমদানি করা আধুনিক সিসিক্যামেরাগুলোরই একটি। এগুলো স্থাপন করতে আমাদের এক সপ্তাহ সময় লাগবে।’
সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগটা জেলা প্রশাসনের। আমরা এটি বাস্তবায়নে আর্থিক দিক থেকে সহযোগিতা করছি। আমরা আশা করি শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্য দিয়ে অপরাধ কমে আসবে। এটি বিশেষ করে বিভিন্ন স্থানে অপরাধ প্রবণতা, বখাটেপনা কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য ভূমিকা রাখবে। কেউ যদি অপরাধ করেও তাহলে সে ভিডিও ফুটেজ থাকার কারণে সহজেই পালিয়ে বাঁচতে পারবেনা। আমরা আশা করছি শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার হবে’।
পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহে চেম্বার অব কমার্সের আর্থিক সহায়তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন করতে নিয়মিত পুলিশিং কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব এলাকার উপর আমাদের নজরদারি থাকবে। সিসিটিভি ফুটেজে সহজেই আমরা অপরাধীকে শনাক্ত করার মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো’।
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুনামগঞ্জ শহরের সব কয়টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আমরা সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো স্থাপন করা হয়ে গেলে অপরাধের মাত্রা অনেকাংশেই কমে যাবে বলেই আমরা আশা করি। আমাদের এ উদ্যোগের সার্বিক অর্থায়ন করছে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স। সদর থানা পুলিশ ও আমাদের অফিসে মনিটরের মাধ্যমে আমরা এসব গুরুত্বপূর্ণ স্পটের উপর নজরদারি রাখবো।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com