ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকে মসজিদের ভূমির মালিকানা ও দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহতরা চিকিৎসা নিতে এসে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে একটি পক্ষ হামলা করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় হাসপাতালের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিলে কর্তব্যরত ডাক্তারদের সাথে অশালীন আচরণসহ হামলার চেষ্টা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে শহরের চরেরবন্দ এলাকার পৌর কাউন্সিলর নওশাদ মিয়া ও রহিম উদ্দিন পক্ষ দ্বয়ের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া বহির্বিভাগসহ সকল বিভাগ বন্ধ রেখে ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধর্মঘট পালন করেন। হাসপাতাল এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরেরবন্দ জামে মসজিদের ভূমি নিয়ে গত ক’দিন ধরে পৌর কাউন্সিলর নওশাদ মিয়া ও প্রতিপক্ষ রহিম উদ্দিনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রোববার সকালে নওশাদ মিয়ার ভাতিজা খালেদ মিয়ার সাথে রহিম উদ্দিনের মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।
এদিকে চিকিৎসা নিতে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দু’পক্ষের লোকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাংচুর চালায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ শর্ম্মা জানান, চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের স্বজনরা জরুরি বিভাগে হামলা ও ভাংচুর করেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও কর্তব্যরত ডাক্তারদের সাথে অশালীন আচরণের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে সংঘর্ষে গুরুতর আহত জালাল উদ্দিন (৩৮)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আব্দুর রহমান (১৮), মিজান আহমদ (২৬), জামিল হোসেন (২৫), মাজেদুর রহমান (২১), তেরা মিয়া (৭৬), রহিম আলী (৪৫), বশির আহমদ (২০), রাব্বি (২০)সহ অন্যান্য আহতদের ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।