মো. শাহজাহান মিয়া ::
আগামী ৬ মার্চ জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৩ পদে মোট ১১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জগন্নাথপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকমল হোসেন (নৌকা), আ.লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা (আনারস) এবং বিএনপি’র দলীয় মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান (ধানের শীষ)। ভোটাররা জানান দলীয় প্রতীক, ব্যক্তি মর্যাদায় এই তিন প্রার্থীই সমানে সমান। তাই তারা মনে করছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখী।
এদিকে প্রচার-প্রচারণায় তিন চেয়ারম্যানপ্রার্থী সমান তালে চলছেন। সবাই জয়ের আশা করছেন।
এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বিজন কুমার দে (নৌকা), আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন (তালা), বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থী সুহেল আহমদ খান টুনু (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল হক (টিউবওয়েল) ও জমিয়তের মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ ছলিম আহমদ কাসেমী (খেজুর গাছ) প্রচারণায় রয়েছেন।
এর মধ্যে প্রতীক ইমেজে বিজন কুমার দে, ব্যক্তি পরিচিতিতে কামাল উদ্দিন ও দলীয় এবং ব্যক্তি ইমেজে সুহেল আহমদ খান টুনু এগিয়ে রয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও লড়াই হবে ত্রিমুখী বলে দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটাররা জানান। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল হকও চমক দেখাতে পারেন বলে মনে করেন অনেকে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হাজেরা বারী (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফারজানা আক্তার (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুফিয়া খানম সাথী (ফুটবল) প্রতীকের প্রচারণা রয়েছে। এর মধ্যে দলীয় প্রতীক, ব্যক্তি ইমেজ, পরিচিতি, প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে হাজেরা বারী এগিয়ে রয়েছেন। বাকি প্রার্থীরাও তাঁদের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।