সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মরা চেলা নদীতে বালুখেকোদের তান্ডব, হুমকিতে রোপওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. আব্দুল হকের প্রচারণা শুরু দেশ বদলাতে চাইলে নিজেকে বদলাতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার এক মাসে জব্দ প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন পথে যেতে যেতে : পথচারী সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পাউবো’র বাঁধের কাজ হয়ে পড়েছে বরাদ্দ মেরে খাওয়ার প্রকল্প

  • আপলোড সময় : ২৮-০২-২০২৫ ১২:১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০২-২০২৫ ১২:১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
পাউবো’র বাঁধের কাজ হয়ে পড়েছে বরাদ্দ মেরে খাওয়ার প্রকল্প
পত্রিকায় (দৈনিক সুনামকণ্ঠ ॥ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) একটি সংবাদপ্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে, “বর্ধিত গুরমার হাওরে অক্ষত বাঁধে ৯ প্রকল্প ॥ অক্ষত বাঁধ নতুন দেখাতে দেওয়া হচ্ছে মাটির প্রলেপ!”। এবংবিধ অবাক করা ঘটনা ঘটেছে তাহিরপুর উপজেলায়। বিবরণে লেখা হয়েছে, “সোলেমানপুর থেকে শ্রীলাইন তাহিরপুর পর্যন্ত বর্ধিত গুরমার হাওরের ৯টি পিআইসির ৫টিই অক্ষত। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে অক্ষত এই বাঁধগুলোর মাটির কাজও এখনো শেষ করতে পারেনি। ... পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন সরকারি বরাদ্দ অপচয় করতে এখানে প্রকল্প বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সামান্য মাটির প্রলেপ দিয়েই বিল হাতিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।... উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি আবুল হাসেম বলেন, মাটির কাজ প্রায় শেষ। পাউবো’র ডিজাইন অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে। কাজ যাতে যথানিয়মে হয় সেদিকে আমাদের নজরদারি রয়েছে।” এবংবিধ বিবরণ পাঠ করে যে-কারও মনে হতে পারে যে, কথিত ‘পাউবো’র ডিজাইন’ মানে খাওয়া-খাওয়ি’র একটা প্রাকল্পিক ব্যবস্থা মাত্র এবং ‘যথানিয়মে নজরদারি’ মানে ‘খাওয়া-খাওয়ি’ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা। অর্থাৎ পাউবো’র হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের একমাত্র উদ্দেশ্য বরাদ্দ মেরে খাওয়া, হাওরে ফসলরক্ষাবাঁধ নির্মাণ বা মেরামতি নয়। অভিজ্ঞমহলের ধারণা এই যে, ইতোমধ্যে পাউবো’র হাওর রক্ষাবাঁধ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সরকারি বরাদ্দ মেরে খাওয়ার প্রকল্প হয়ে পড়েছে এবং তাঁরা মনে করেন, সরকার থেকে এ বিষয়ে বিশেষ তদন্তের ব্যবস্থা করে পাউবো’র কাঠামোগত এই দুর্নীতির প্রতিকার করা জরুরি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ