
পত্রিকায় (দৈনিক সুনামকণ্ঠ ॥ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) একটি সংবাদপ্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে, “বর্ধিত গুরমার হাওরে অক্ষত বাঁধে ৯ প্রকল্প ॥ অক্ষত বাঁধ নতুন দেখাতে দেওয়া হচ্ছে মাটির প্রলেপ!”। এবংবিধ অবাক করা ঘটনা ঘটেছে তাহিরপুর উপজেলায়।
বিবরণে লেখা হয়েছে, “সোলেমানপুর থেকে শ্রীলাইন তাহিরপুর পর্যন্ত বর্ধিত গুরমার হাওরের ৯টি পিআইসির ৫টিই অক্ষত। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে অক্ষত এই বাঁধগুলোর মাটির কাজও এখনো শেষ করতে পারেনি। ... পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন সরকারি বরাদ্দ অপচয় করতে এখানে প্রকল্প বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সামান্য মাটির প্রলেপ দিয়েই বিল হাতিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।... উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি আবুল হাসেম বলেন, মাটির কাজ প্রায় শেষ। পাউবো’র ডিজাইন অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে। কাজ যাতে যথানিয়মে হয় সেদিকে আমাদের নজরদারি রয়েছে।”
এবংবিধ বিবরণ পাঠ করে যে-কারও মনে হতে পারে যে, কথিত ‘পাউবো’র ডিজাইন’ মানে খাওয়া-খাওয়ি’র একটা প্রাকল্পিক ব্যবস্থা মাত্র এবং ‘যথানিয়মে নজরদারি’ মানে ‘খাওয়া-খাওয়ি’ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা। অর্থাৎ পাউবো’র হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের একমাত্র উদ্দেশ্য বরাদ্দ মেরে খাওয়া, হাওরে ফসলরক্ষাবাঁধ নির্মাণ বা মেরামতি নয়।
অভিজ্ঞমহলের ধারণা এই যে, ইতোমধ্যে পাউবো’র হাওর রক্ষাবাঁধ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সরকারি বরাদ্দ মেরে খাওয়ার প্রকল্প হয়ে পড়েছে এবং তাঁরা মনে করেন, সরকার থেকে এ বিষয়ে বিশেষ তদন্তের ব্যবস্থা করে পাউবো’র কাঠামোগত এই দুর্নীতির প্রতিকার করা জরুরি।