সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫ , ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী

সংবিধানের নীতি না মেনে সংবিধান রক্ষা অর্থহীন

  • আপলোড সময় : ১৪-০১-২০২৫ ১১:৫৬:২৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০১-২০২৫ ১১:৫৬:২৬ অপরাহ্ন
সংবিধানের নীতি না মেনে সংবিধান রক্ষা অর্থহীন
“৭২’র সংবিধান বাতিল করা যাবে না, ৩৬ বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিবাদ” এবংবিধ সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। খুব ভালো কথা। সংবিধান থাক। আমরা তাঁদেরকে সমর্থন করছি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে আমরা যদি সংবিধান না মানি তবে সংবিধান রেখে কী লাভ? সংবিধান না মেনে দেশ পরিচালিত হয়েছে বিগত ৫৩ বছর ধরে এবং তার জের হিসেবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটেছে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় মূল চারনীতির দুইটি সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র, অথচ বিগত ৫৩ বছরের মধ্যে এই শব্দ দুটিকে সংবিধানের পাতায় বন্দি করে রাখা হয়েছে বটে কিন্তু রাষ্ট্রপরিচালনার মাঠপর্যায়ে কার্যকর করা হয়নি। সমাজতন্ত্র তো দিল্লি দূরস্থ এমনকি গণতন্ত্রের ছিঁটেফুটাও জনগণের জন্য বরাদ্দ করা হয়নি, যা করা হয়েছে ত হলো সাধারণ মানুষকে শোষণ করে আখের ছোবড়া বানানো এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগ করে বাকস্বাধীনতা হরণ করে রাষ্ট্রকে পীড়নযন্ত্রে পরিণত করা। এতো দিন রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়েছে দেশের বাইরে সম্পদ পাচার করতে, উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের খেত বানাতে। আগামী দিনে এভাবে সংবিধানের ধার না ধেরে রাষ্ট্র পরিচালিত হলে আবারও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মতো কিংবা তার চেয়ে আরও বড় ধরনের আন্দোলনে নামতে হবে দেশবাসীকে। ভুলে গেলে চলবে না, নয়া ঔপনিবেশিকতার নীতি মুক্তবাজার অর্থনীতির খপ্পর থেকে দেশকে মুক্ত করে সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের চর্চা না করতে পারলে বিদেশনির্ভরতা কমবে না এবং বিদেশনির্ভরতা রাষ্ট্রকে সব সময় দুর্বল করে রাখবে। সুতরাং সর্বাগ্রে সংবিধান রক্ষা করুন এবং মনে রাখুন, সংবিধান রক্ষা করে সংবিধানের চারনীতির প্রধান দুই নীতি সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের চর্চায় ব্রতী না হলে সংবিধান রক্ষার চেয়ে সংবিধান বাতিল করাই উত্তম।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স