স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, নদী ভাঙন রোধে সরকার কাজ করছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমার নির্বাচনী এলাকায় সুরমা নদীর ভাঙন ঠেকাতে আমি ইতিমধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ডে ডিও আকারে প্রস্তাব প্রেরণ করেছি। আমাদের ঐতিহ্যবাহী সুনামগঞ্জ লঞ্চঘাট, উকিলপাড়া ও ইব্রাহিমপুরের নদী ভাঙন রোধে জরুরি কাজ ইতোমধ্যেই সমাপ্ত করা হয়েছে। এখন সেখানে আর ভাঙন হচ্ছে না। গৌরারংয়ের আচিনপুর গ্রামের নদী ভাঙন রোধে আমি কিছুদিন পূর্বে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জরুরী কাজ বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সেখানে ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জরুরি মেরামত কাজ অনুমোদন করা হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিণাপাটি গ্রামে সুরমা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে এমপি মিসবাহ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, হরিণাপাটি গ্রামের নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প গ্রহণ করতে আমি পাউবোকে বলেছিলাম। তারা ৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটার মেরামত কাজের একটি প্রকল্প ঢাকায় প্রেরণ করেছেন। অচিরেই সেটি অনুমোদন হবে এবং কাজ বাস্তবায়ন হবে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। এমপি পীর মিসবাহ বলেন, সুরমা নদী অচিরেই খনন করা হবে। তখন আর নদী তীর ভাঙনের শিকার হবে না।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. রফিকুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ পাউবোর এসডি প্রীতম পাল, এসও আশরাফুল সিদ্দিকী, জেলা জাতীয় পার্টি নেতা জসিম উদ্দিন লাল, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি আ. রউফ, আ. মালেক, আজর আলী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ স¤পাদক সজ্জাদুর রহমান সাজু, রঙ্গারচর ইউপি জাপার আহ্বায়ক ফয়জুর রহমান, লোকচাঁন মিয়া, শেখ ফাহিম প্রমুখ।