শহীদনুর আহমেদ ::
মঞ্জুরিকৃত পদের অর্ধেকের কম লোকবল নিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে সুনামগঞ্জ প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কার্যক্রম। মোট ১৩৭টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪৯ জন। শূন্য রয়েছে ৮৮টি পদ। অর্ধেকের বেশি পদ শূন্য থাকায় ব্যাহত হচ্ছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। ফলে জেলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন গবাদিপশুর চিকিৎসা সেবা থেকে। তাই লোকবল সংকট নিরসন করে জেলার পশু চিকিৎসা ব্যবস্থার মানোন্নয়নসহ খামারিদের কারিগরি সহায়তা প্রদানের তাগাদা জানিয়েছেন উপকারভোগীসহ সচেতনমহল।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগে মঞ্জুরীকৃত ১১৯টি পদের মধ্যে কর্মরত ৪১ জন। শূন্য রয়েছে ৭৮টি পদ। যারমধ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পদে ১১টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন।
১১ উপজেলায় ১১ জন ভেটেরিনারি সার্জন থাকার কথা থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ৯ জন। ভি.এফ.এ পদে ৩১ জনের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১৩ জন, ভেটেরিনারি কম্পাউন্ডার পদে ১১ জনের মধ্যে রয়েছে ৪ জন, ১১ উপজেলায় ১১ জন ইউ.এল.এ থাকার কথা থাকলেও সবকয়টি পদ শূন্য রয়েছে। এফ.এ(এ/আ) পদে ১১ জনের মধ্যে আছে ৫ জন। অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে ১১ জনের মধ্যে রয়েছে ৩ জন। ১১টি ড্রেসার পদের বিপরীতে আছে মাত্র ১টি, অফিস সহকারি ১১ পদের মধ্যে কর্মরত ২জন।
তাছাড়া জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মর্কতা ও অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর, মাঠ সহকারি, ল্যাবরেটরী অ্যাটেনডেন্ট, অফিস সহায়ক পদ থাকলেও শূন্য রয়েছে উচ্চমান সহকারি কাম-হিসাবরক্ষক, এফ.এ(এ/আ), ক্যাশিয়ার, গাড়ী চালক, নিরাপত্তা প্রহরী, ফডার গার্ড পদটি।
এদিকে জেলা প্রাণি হাসপাতালেও রয়েছে লোকবল সংকট। ৬টি পদের মধ্যে ৪টি পদই শূন্য। অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর ও গাড়ীচালকই হাসপাতালের ভরসারস্থল। শূন্য রয়েছে ভেটেরিনারি সার্জন, ভেটেরিনারি কম্পাউন্ডার, অফিস সহায়ক ও বুল অ্যাটেনডেন্ট পদটি।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের লোকবল সংকটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে একাধিকবার জানানো হলেও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান খান বলেন, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে লোকবল সংকট চরম। মঞ্জুরীকৃত পদের অর্ধেকের কম লোকবল নিয়ে কোনোভাবে দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। লোকবল সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। লোকবলের সংখ্যা বাড়লে কার্যক্রমের গতি আরো বৃদ্ধি পাবে।