স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরে ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচনে হেরে আত্মহত্যা করেছে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী। মিসুমা ফারিন প্রমি নামের ওই ছাত্রী বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ী মোশাহিদ শাহ’র মেয়ে। এ ঘটনায় পরিবারে শোকের মাতম চলছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারি বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণির ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচন ছিল। নির্বাচনে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মিসুমা ফারিন প্রমি, মাসুম ও সুজাত নামের তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনে মাসুম ৭৩ ভোট, সুজাত ৬৫ ভোট এবং প্রমি ৪০ ভোট পান। ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হন মাসুম ও ভাইস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয় সুজাত। ৪০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয় প্রমি। এতে মনোক্ষুণœ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে সে। বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে। পরে মা পরাজয়ের কারণ জানতে পেরে তাকে ধৈর্য্য ধরতে বলেন। এতেও তার অপমানবোধ কমেনি। রাতে পরিবারের লোকদের অগোচরে ঘরের ধর্ণার সঙ্গে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রমির মা খাবার দিতে এসে দেখেন মেয়ের মৃতদেহ ঝুলে আছে। তিনি এই অবস্থা দেখে কান্নাকাটি শুরু করলে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় প্রমি’র দুই দফা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে দাফন করা হয়েছে। এদিকে মেয়েকে হারিয়ে পরিবারের লোকজন মুষড়ে পড়েছেন।
বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এস হাবিব বলেন, আমাদের জন্য খবরটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এত অল্প বয়সে পরাজয়ের অপমান সইতে না পেরে প্রমি এভাবে সে আত্মাহুতি দিবে ভাবতেই পারিনা। তার স্মৃতিরক্ষায় আমরা স্কুলে একটি স্থাপনা করব।
বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমির হোসেন বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচনে হেরে অপমান সইতে না পেরে প্রমি আত্মহত্যা করেছে। প্রশাসনিকভাবে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর শেষে মঙ্গলবার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।