সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের রিমান্ডে ব্যারিস্টার সুমন দিরাই আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা ধর্মপাশা কৃষি ঋণ কমিটির সভা এসএসসি’র টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা জাউয়াবাজারে কৃষক দলের কমিটি গঠন ছাতকে গৃহবধূর আত্মহত্যা জনগণ যাতে সকল ক্ষমতার মালিক হতে পারেন তেমন দেশ গড়তে চাই : প্রধান উপদেষ্টা ধোপাজান-চলতি নদী : পথ বদলে চলছে বালু-পাথর লুট জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা : শুনানি শেষ, রায় যে কোনো দিন অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেবে স্পেন পথনাটক উৎসব উদ্বোধন জামালগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পলাশ ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ কারাগারে মুজিববর্ষ উদযাপনে খরচ ১২৬১ কোটি টাকা পুলিশের নতুন আইজিপি বাহারুল আলম লাখে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে জামালগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দুটি বসতঘর পুড়ে ছাই ধর্মপাশায় আসামি গ্রেফতার

জলমহাল দখলের প্রতিবাদে মৎস্যজীবীদের মানববন্ধন

  • আপলোড সময় : ২৩-০৯-২০২৪ ০১:১০:২৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৯-২০২৪ ০৬:০৭:২৭ অপরাহ্ন
জলমহাল দখলের প্রতিবাদে মৎস্যজীবীদের মানববন্ধন
জামালগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালগঞ্জ উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে ভুক্তভোগী মৎস্যজীবীরা সাচনা বাজারে মানববন্ধন করেছেন। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় মানববন্ধন করে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী মৎস্যজীবী পরিবারগুলো। এছাড়াও সুষ্ঠু তদন্ত করে জলমহালটি দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মানববন্ধনে গোপালপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক যুবরাজ দাস বলেন, আমরা প্রকৃত কার্ডধারী মৎস্যজীবী পরিবার। আমরা মাছ ধরেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। গত ১৪২৬ বাংলা থেকে ১৪৩১ বাংলা সন পর্যন্ত সরকারকে খাজনা দিয়ে জলমহালটি স্কিমে ইজারা নিয়েছি। গত ৫ বছর ঠিকমতো মাছ আহরণ করতে পারলেও এবার সাচনাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া তার বাহিনী নিয়ে আমাদের বিল দখল করে নিয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ আহরণ করেছে। এছাড়াও আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। সমিতির সভাপতি সচিন্দ্র দাস বলেন, এটা আমাদের শেষ বছর। আমরা মাছ ধরতে বিলে গেলে আমরারে হুমকি দেয়। আমরারে মাইরা বস্তাত ভইরা নদীতে ফালাইয়া দিবো। বর্তমানে ফারুক ও তার ভাইসহ ১৫/২০ জন লোক জাল দিয়া মাছ ধরতেছে। আমরা নিষেধ করলে তারা বলে মাসুক চেয়ারম্যানের কাছে যাও, আমরা কিছু বলতে পারবো না। মাসুক চেয়ারম্যানের কাছে গেলে সে আমাদের পাত্তা দেয়না। এই অবস্থায় আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তা ও আমাদের জলমহালটি ফেরত চাই। এদিকে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করেও কোনো বিচার পাননি বলেও দাবি করে বলেন, গত সপ্তাহে তারা একটি অভিযোগ থানায় দায়ের করতে গেলে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা কোর্টে যেতে বলেন। অভিযোগের ব্যাপারে সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো মাসুক মিয়া বলেন, আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin News

কমেন্ট বক্স