ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক রথীন্দ্র কুমার দাস স্মরণে শোকসভা টিলা কেটে সরকারি জায়গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বহুতল মার্কেট ছয় থানার ওসি বদলি কমিশনকে নজরে রাখবে রাজনৈতিক দলগুলো সালমান-আনিসুল হক ফের রিমান্ডে দেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা দেবে জার্মানি হাওরকে বাঁচতে দিন আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৪৭৬ প্রাণ কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৫ অক্টোবর “অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে, তবে তা সীমাহীন নয়” ইজারাকৃত সব জলমহালের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ পদ হারিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরছেন আ.লীগ নেতারা সাবেক ৩ সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউনেস্কো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ

হাওরকে বাঁচতে দিন

  • আপলোড সময় : ২০-০৯-২০২৪ ০৯:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৯-২০২৪ ০৯:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন
হাওরকে বাঁচতে দিন
গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪) গ্রামীণ জনকল্যাণ সংসদ দিরাইয়ের আয়োজনে এবং হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিরাই পৌরশহরের বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির কনফারেন্স হলে ‘হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেছেন, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পলিতে ভরে যাওয়া নদী ও হাওর খনন পরিকল্পনা, হাওরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নতমানের ধান চাষ, বৃক্ষরোপণ, হাওরের জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের এইরূপ কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্যে অভিনন্দন জানাই এবং দাবি জানাই, হাওরকে বাঁচতে দিন। ব্রিটিশ আমল থেকে প্রকৃতপ্রস্তাবে ভাটিবাংলার ভূপ্রাকৃতিক পরিসরে যথোপযুক্ত ও কার্যকর কোনও উন্নয়নকাজ পরিচালিত হয়নি। যে-সব কাজ হয়েছে সে-গুলো ভাটিবাংলার প্রকৃতিবিরোধী এবং প্রকারান্তরে ভাটিবাংলার প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতার উদগাতা। অর্থাৎ ইতোমধ্যে সম্পন্ন কাজগুলো ভাটিবাংলার উন্নয়নের নামে অনুন্নয়ন ঘটিয়েছে ব্যাপক মাত্রায়। এই উন্নয়নের নামে ব্যাপক মাত্রার অনুন্নয়নের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা সম্পাদকীয়র অপর্যাপ্ত পরিসরে পেশ করা সম্ভব নয়। সংক্ষেপে বললে বলতে হয়, মাছ-গাছসহ জলজ জৈবসম্পদের বিশাল পরিসরে মরতে মরতে যে-ক’টা হাওর, বিল, নদী, খালের অস্তিত্ব এখনও অবশিষ্ট আছে সে-গুলোও মরোমরো অবস্থায়, মাছ নেই জলাধার হয়ে গেছে। অন্যভাবে বললে বলতে হয়, ভাটিবাংলার বিশাল বিস্তৃত জলাভূমি আসলে একটি জলের মরুভূমিতে পর্যবসিত হয়েছে। ভাটিবাংলার প্রতিটি মানুষ আশা করেন, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের হাওর উন্নয়নের রূপকল্প অচিরেই বাস্তবায়িত হবে এবং ভাটিবাংলা আবার তার অতীতের যৌবন ফিরে পাবে, আবার মাছগাছ ও জলজ জৈবসম্পদের অফুরন্ত ভা-ার হয়ে উঠবে ভাটিবাংলার জলের জগৎ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য