“অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে, তবে তা সীমাহীন নয়”
- আপলোড সময় : ১৯-০৯-২০২৪ ০৯:৩৪:০৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-০৯-২০২৪ ০৯:৩৪:০৭ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আমরা এখন একটি পর্যায়ে এসেছি, সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়া প্রয়োজন। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মনে রাখতে, এই সময় কিন্তু সীমাহীন নয়। সরকারকে বুঝতে হবে, কোন সময়টা যৌক্তিক, আর কোনটি যৌক্তিক নয়। কোন কোন সংস্কার প্রয়োজনীয় এটা সরকারকে বুঝতে হবে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘জনগণের প্রত্যাশা : অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ’ শীর্ষক দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। দ্য মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় এ আয়োজন করে।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, সবকিছু সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিবিদদের সংস্কার হতে হবে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি কোনও সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। রাজনীতিতে শেষ বলতে কোনও কথা নেই।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের কথা কেন এ দেশের ছাত্র ও তরুণ সমাজ বিশ্বাস করে না - এটি খুঁজে বের করতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে। আমারা গলা ফাটিয়ে যখন কথা বলি, তখন কেন ছাত্র-জনতা সেটি বিশ্বাস করে না? তারা মনে করে এটি কথার কথা। আস্থা আনতে রাজনৈতিক নেতাদের পরিবর্তন হতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গণতন্ত্রের মূল হলো ভিন্নমত। এটি না থাকলে গণতন্ত্র থাকে না। এটি কিন্তু ৭২ সালেও হরণ করা হয়েছিল। ৫ আগস্টে সরকার পতন কিন্তু দেশের জন্য সুখকর নয়, ভিন্নমত হরণের ফলে তার অবস্থা এমন হয়েছে। ভিন্নমত দমন না করলে রাষ্ট্র পরিচালনা কোনও সমস্যা হয় না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সংস্কার করলে আগে রাজনীতির দিকে চোখ দেওয়া দরকার। রাজনীতিবিদদের লুটপাট, চাঁদাবাজি সব পরিহার করতে হবে। অনেকে বলেছেন, নির্বাচন করতে যা সংস্কার দরকার সেটি করেন। রাজনৈতিক দলগুলো যে নির্বাচনের পর সংস্কার করবে, এটা জনগণ বিশ্বাস করে না। তারা আগেও দেখছে, নির্বাচনের পর রাজনৈতিক দল তাদের অঙ্গীকার ভুলে যায়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদের পেছনে কি শুধু আওয়ামী লীগ দায়ী, বিএনপি নয়? স্বাধীনতার পর একটি সংবিধানের বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার অপ্রয়োগ করেছে। ’৯০-এর পরবর্তী একই ঘটনা।
তিনি বলেন, ছাত্ররা এখনও কারও প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেনি। দল যে কেউ গঠন করতে পারে, এটা নাগরিক অধিকার, তবে করতে হবে স্বতন্ত্রভাবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, এ ঐক্যকে কোনও রাজনৈতিক দল প্রতিপক্ষ ভাবলে সেটা হয়তো রাজনীতিবিদদের জন্য ভুল হবে।
গণফোরামের সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, একটা পাহাড় সমান সমস্যা নিয়ে একটি সরকার বসেছে। একটু ধৈর্যশীল হন। টানাটানি বন্ধ করেন। উল্টাপাল্টা বক্তব্য থেকে বিরত থাকেন। কোনভাবেই এ সরকারকে ব্যর্থ করতে দেওয়া যাবে না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ