মৃত্যুঝুঁকিতেও সাগরপথে ইতালি প্রবেশ থামছে না বাংলাদেশিদের
- আপলোড সময় : ১৭-১১-২০২৫ ০৯:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৭-১১-২০২৫ ০৯:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
নৌকাডুবি, মানবপাচারকারীদের অত্যাচার, নির্যাতন ও দালালদের প্রতারণার পরও আফ্রিকার দেশ লিবিয়া হয়ে ইতালি প্রবেশ যেন থামছেই না বাংলাদেশিদের। সবশেষ চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর ২৬ জন বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যা ইতালিসহ ইউরোপের গণমাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশন (আইওএম) এ তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতেও লিবিয়ার কাছে নৌকাডুবিতে ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়।
২০২৪ সালে শুধু ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া হয়ে ১১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ইতালি পৌঁছেছেন। এ সময় সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে তিন শতাধিক অভিবাসীপ্রত্যাশী নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ১২ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি।
ইউরোপের সীমান্তরক্ষী সংস্থা ফ্রন্টেক্স নভেম্বর মাসের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর পথে শুধুমাত্র এ বছরের অক্টোবর মাসেই ৭৬৬৮ জন অবৈধ অভিবাসী লিবিয়া হয়ে ইতালিতে প্রবেশ করেছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি। বাকিরা মিসর ও ইরিত্রিয়ার নাগরিক। আর ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৫৮ হাজার ৮২২ জন অবৈধ অভিবাসী ইতালিতে প্রবেশ করেছেন। এদের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি ছিল বাংলাদেশি নাগরিক।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর এসাইলামের তথ্য মতে, ইতালিতে শুধুমাত্র আগস্ট মাসে আশ্রয়ের আবেদনকারীদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিল ৬৭ শতাংশ। যাদের সবাই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া হয়ে ইতালিতে এসেছেন। আর ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৩২ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ইতালিতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন। ইতালি বাদে ইউরোপের অন্য দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য শুধু বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী ২৬৯১ জন নাগরিক আবেদন করেছেন। যাদের বেশিরভাগই সাগরপথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পৌঁছেছেন।
এ বিষয়ে জার্মানির কমিউনিটি সংগঠক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ভূমধ্যসাগর পথে যেসব বাংলাদেশির মৃত্যু হচ্ছে তারা কেউ গরিব নন। ২০-২৫ লাখ টাকা খরচ করে তারা মৃত্যু কিনছেন। এভাবে যারা ইতালি বা ইউরোপে প্রবেশ করছেন তাদের ইউরোপের ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা নানাভাবে ইউরোপের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। বিশেষ করে ইতালি ও পর্তুগালে বাংলাদেশিদের ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না। ফ্রান্সের রাজনীতিতেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আলোচনায় এসেছে। এজন্য দায়ী বাংলাদেশিদের অভিবাসন প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি। বাংলাদেশের তরুণদের আরো সচেতন হওয়া উচিত। বৈধ পথে অভিবাসন প্রক্রিয়া জেনে তারপর ইউরোপে আসা উচিত। এজন্য সরকারেরও ব্যাপকভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া উচিত। অন্যথায় এই মৃত্যু থামবে না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ

সুনামকন্ঠ ডেস্ক