সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের রিমান্ডে ব্যারিস্টার সুমন দিরাই আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা ধর্মপাশা কৃষি ঋণ কমিটির সভা এসএসসি’র টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা জাউয়াবাজারে কৃষক দলের কমিটি গঠন ছাতকে গৃহবধূর আত্মহত্যা জনগণ যাতে সকল ক্ষমতার মালিক হতে পারেন তেমন দেশ গড়তে চাই : প্রধান উপদেষ্টা ধোপাজান-চলতি নদী : পথ বদলে চলছে বালু-পাথর লুট জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা : শুনানি শেষ, রায় যে কোনো দিন অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেবে স্পেন পথনাটক উৎসব উদ্বোধন জামালগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পলাশ ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ কারাগারে মুজিববর্ষ উদযাপনে খরচ ১২৬১ কোটি টাকা পুলিশের নতুন আইজিপি বাহারুল আলম লাখে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে জামালগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দুটি বসতঘর পুড়ে ছাই ধর্মপাশায় আসামি গ্রেফতার

ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, গরম কমলেও বন্যার শঙ্কা

  • আপলোড সময় : ১৪-০৯-২০২৪ ০১:৩৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৯-২০২৪ ০১:৩৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, গরম কমলেও বন্যার শঙ্কা
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: আগামী তিন দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টির প্রভাবে গরম কমে আসবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশ এবং সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকার একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে এটি অবস্থান করছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হতে পারে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম বঙ্গ ও সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের সৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া জেলাসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ওপর নিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গার অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের সৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী ও গোমতী নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল বাড়ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশে ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা থাকায় আগামী দুই দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বাড়তে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তবে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী দুই দিন উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে এই সময় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল বাড়তে পারে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র-যমুনার সঙ্গে যুক্ত নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত এসব নদীর পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারার সঙ্গে যুক্ত নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ- মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ধলাই ইত্যাদির পানি সমতল স্থিতিশীল আছে যা আগামী তিন দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স