ধর্মীয়-সামাজিক কাজে ব্যবহৃত জমি ব্যক্তির নামে বন্দোবস্ত বাতিল করুন
- আপলোড সময় : ০৪-১১-২০২৫ ০৮:৩২:২০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৪-১১-২০২৫ ০৮:৩২:২০ পূর্বাহ্ন
জামালগঞ্জ উপজেলার উজান দৌলতপুর গ্রামে শতবর্ষের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু যে জায়গাটি - তা হঠাৎ করে এক ব্যক্তির নামে বন্দোবস্ত হয়ে গেছে। এবং এর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর লিখিত আবেদন পড়ে আছে ৫ মাস - কেউ তদন্তে যান না। বিষয়টি শুধু একটি গ্রামের সমস্যা নয়; এর সাথে জড়িত রাষ্ট্রের খাস জমি ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা, প্রশাসনিক তদারকি, আইনের অপব্যবহার এবং সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার রক্ষার প্রশ্ন।
সার্বজনীন ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে ব্যবহৃত সরকারি খাস জমি তড়িঘড়ি করে কারও নামে বন্দোবস্ত হয়ে গেলে প্রশ্ন উঠবে - এই বন্দোবস্ত কীভাবে দেয়া হলো? কার স্বার্থে দেয়া হলো?
এই ক্ষেত্রে অভিযোগ আছে- জমি বন্দোবস্তের পরও প্রাপক ব্যক্তি দখলে যাননি প্রায় এক যুগ। এটি প্রমাণ করে জমি বাস্তবে গ্রামের জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য ছিল। আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন- গ্রামের যেটি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের কেন্দ্র, যেটি সামাজিক সম্পদ - তা ব্যক্তিগত সম্পত্তির আওতায় কীভাবে চলে যায়?
উদ্বেগজনক তথ্য হলো- গ্রামবাসী আবেদন করেছেন ২৫ মে, অথচ তদন্তে যাননি তহশিলদার। পরে ৫ মাস পর নতুন এসিল্যান্ডের সাথে পুনরায় যোগাযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হলো। আমরা মনে করি, এটি প্রশাসনিক অচলায়তন ছাড়া আর কিছু নয়।
এই ধরনের ঘটনা একটি খুবই বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করে- কোনো জায়গা শত বছর গ্রামের ধারাবাহিক ব্যবহারে থাকলেও, কাগজের একটি বন্দোবস্ত দিয়ে তা অন্যের নামে চলে যেতে পারে! জমি বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ব্যক্তি ‘বিক্রি করতে রাজি’ - এই বক্তব্যই প্রমাণ করে জমিটি দখ-বিক্রির বাণিজ্যিক চিন্তার মধ্যে পড়েছে। অথচ গ্রামবাসীর চোখে এই জমি হলো ধর্মীয় অনুভূতি, সংস্কৃতি, সামাজিক মিলনমেলা এবং ঐতিহ্যের প্রতীক।
আমরা দাবি জানাই, এই ধরনের ধর্মীয়-সামাজিক কাজে ব্যবহৃত জমির বেলায় প্রাথমিক শর্ত হওয়া উচিত সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করা। আমরা দাবি জানাই, ধর্মীয়-সামাজিক কাজে ব্যবহৃত জমির ব্যক্তির নামে বন্দোবস্ত বাতিল করা হোক। সরকারের খাস জমি জনগণের অনুকূলে, জনগণের কল্যাণে থাকুক।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ

সম্পাদকীয়