সুনামগঞ্জ , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটি গঠন গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ বইমেলা আমাদের সংস্কৃতি আর জ্ঞানের প্রতীক- জেলা প্রশাসক ২০১৮ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি বিএনপির বর্ধিত সভা এবার সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের পরিকল্পনা সভা আল-আকসা কিন্ডারগার্টেন উদ্বোধন সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসনাত কাওসার গ্রেফতার শিক্ষকের মারধরে ছাত্র আহত অ্যাড. নূরুল ইসলামের সমর্থনে প্রচার সভা ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ এখনো অনেক কাজ বাকি এবারও হাওরের মাটি কাটা হচ্ছে কলমে! জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন জগন্নাথপুরে ৩ দোকান থেকে নগদ অর্থসহ অর্ধকোটি টাকার মোবাইল চুরি মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাণীগঞ্জ মাদ্রাসায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন চালু : স্বল্প মূল্যে সেবা পাবেন রোগীরা ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

কালো আইন বাতিল প্রসঙ্গে

  • আপলোড সময় : ১৩-০৯-২০২৪ ০৯:২০:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৯-২০২৪ ০৯:২০:৩১ পূর্বাহ্ন
কালো আইন বাতিল প্রসঙ্গে
গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সুনামকণ্ঠের একটি উদ্ধৃত সংবাদপ্রতিবেদন থেকে কালো আইনের তালিকা হচ্ছে বলে জানা যায়। বলা হয়েছে, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সব কালো আইনের তালিকা করা হয়েছে এবং শিগগিরই এ সব কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।’ এই জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন ও সাধধুবাদ জানাই। সন্দেহ নেই, রাষ্ট্রসংস্কারের পরিপ্রেক্ষিতে এটি (কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা) একটি যুগান্তকর পদক্ষেপ হয়ে উঠতে পারে। আমরা মনে করি, ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলের উপনিবেশ শাসনের জন্য প্রণীত জনবিরোধী আইনগুলো বাতিল করে স্বাধীন দেশ পরিচালনার উপযোগী আইন প্রবর্তন করা উচিত ছিল ১৯৪৭ সালের পরেই। কিন্তু ক্ষমতালোভী রাজনীতিকদের শ্রেণিস্বার্থ রক্ষার্থে আইন পরিবর্তনের কোনও চেষ্টা কখনওই করা হয় নি। তা করা হলে, সত্যিকার অর্থেই রাষ্ট্রকে বিমানবিক প্রবণতা থেকে মানবিকতার দিকে ফেরানো যেতো এবং এতোদিন পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রয়োজন হতো না। আমরা আশাবাদী আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার জনবিরোধী আইনগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো প্রয়োজনে বাতিল ও সংশোধন করবেন, যে আইনগুলো রাষ্ট্রকে জনগণের উর্ধে প্রতিষ্ঠিত করে প্রকারান্তরে রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রভুত্বব্যঞ্জক আচরণের উর্বর ক্ষেত্র তেরি করে, ক্ষেত্রবিশেষে ব্যক্তি মানুষের বাকস্বাধীনতাকে পর্যন্ত প্রতিহত করে। এতে করে এক শ্রেণি অন্য শ্রেণির মানুষের উপর খবরদারি করার সুযোগ পায় এবং প্রকারান্তরে তাদেরকে শোষণ করে নিজেরা ধনী ও ক্ষমতাধর হয়ে উঠে এবং পরিণতিতে সমাজে বিমানবিকতা চর্চার বিস্তার ঘটে, মানুষ পীড়নের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদী হয়ে উঠত পারে না। রাষ্ট্র মানুষের ভেতরে উদ্ভূত বিমানবিকতার নিরসনে সচেষ্ট হবে এটাই শ্রেণিনির্বিশেষে সকল মানুষের সর্বাগ্রে কাম্য। অর্থাৎ রাষ্ট্র কখনওই মানুষের প্রভু হয়ে উঠবে না। মূর্তনির্দিষ্ট লক্ষ্যাণুসারে আইনের পরিবর্তন করেই কেবল রাষ্ট্রের ভেতরে বৈষম্যবিরোধী প্রবণতার নিরসন করা ও শ্রেণিনির্বিশেষের প্রভুত্বব্যবঞ্জকতাকে নির্মূল করা সম্ভব।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ

গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ