সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পলাশ ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ কারাগারে মুজিববর্ষ উদযাপনে খরচ ১২৬১ কোটি টাকা পুলিশের নতুন আইজিপি বাহারুল আলম লাখে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে জামালগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দুটি বসতঘর পুড়ে ছাই ধর্মপাশায় আসামি গ্রেফতার শহরে ফুটপাত দখল করে দোকানপাট: যানজটে জনভোগান্তি পিকনিক স্পটে দুর্বৃত্তদের হামলা ও ভাঙচুর ৭০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ তুমি যে চেয়ে আছ আকাশ ভরে আ.লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জামালগঞ্জে এক পরিবারের ৩ বসতঘর পুড়ে ছাই ব্যাংকের সব শাখায় ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন লেনদেনের নির্দেশ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে সারদায় প্রশিক্ষণরত আরও তিন এসআইকে অব্যাহতি আ.লীগের পুনর্বাসনে চেষ্টাকারীরা গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে : হাসনাত আবদুল্লাহ খেলাপি আদায়ে অর্থ ঋণ আদালতকে সক্রিয় করছে সরকার সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয় : মঈন খান ফোকাস এখন একটাই- নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

কালো আইন বাতিল প্রসঙ্গে

  • আপলোড সময় : ১৩-০৯-২০২৪ ০৯:২০:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৯-২০২৪ ০৯:২০:৩১ পূর্বাহ্ন
কালো আইন বাতিল প্রসঙ্গে
গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সুনামকণ্ঠের একটি উদ্ধৃত সংবাদপ্রতিবেদন থেকে কালো আইনের তালিকা হচ্ছে বলে জানা যায়। বলা হয়েছে, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সব কালো আইনের তালিকা করা হয়েছে এবং শিগগিরই এ সব কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।’ এই জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন ও সাধধুবাদ জানাই। সন্দেহ নেই, রাষ্ট্রসংস্কারের পরিপ্রেক্ষিতে এটি (কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা) একটি যুগান্তকর পদক্ষেপ হয়ে উঠতে পারে। আমরা মনে করি, ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলের উপনিবেশ শাসনের জন্য প্রণীত জনবিরোধী আইনগুলো বাতিল করে স্বাধীন দেশ পরিচালনার উপযোগী আইন প্রবর্তন করা উচিত ছিল ১৯৪৭ সালের পরেই। কিন্তু ক্ষমতালোভী রাজনীতিকদের শ্রেণিস্বার্থ রক্ষার্থে আইন পরিবর্তনের কোনও চেষ্টা কখনওই করা হয় নি। তা করা হলে, সত্যিকার অর্থেই রাষ্ট্রকে বিমানবিক প্রবণতা থেকে মানবিকতার দিকে ফেরানো যেতো এবং এতোদিন পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রয়োজন হতো না। আমরা আশাবাদী আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার জনবিরোধী আইনগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো প্রয়োজনে বাতিল ও সংশোধন করবেন, যে আইনগুলো রাষ্ট্রকে জনগণের উর্ধে প্রতিষ্ঠিত করে প্রকারান্তরে রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রভুত্বব্যঞ্জক আচরণের উর্বর ক্ষেত্র তেরি করে, ক্ষেত্রবিশেষে ব্যক্তি মানুষের বাকস্বাধীনতাকে পর্যন্ত প্রতিহত করে। এতে করে এক শ্রেণি অন্য শ্রেণির মানুষের উপর খবরদারি করার সুযোগ পায় এবং প্রকারান্তরে তাদেরকে শোষণ করে নিজেরা ধনী ও ক্ষমতাধর হয়ে উঠে এবং পরিণতিতে সমাজে বিমানবিকতা চর্চার বিস্তার ঘটে, মানুষ পীড়নের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদী হয়ে উঠত পারে না। রাষ্ট্র মানুষের ভেতরে উদ্ভূত বিমানবিকতার নিরসনে সচেষ্ট হবে এটাই শ্রেণিনির্বিশেষে সকল মানুষের সর্বাগ্রে কাম্য। অর্থাৎ রাষ্ট্র কখনওই মানুষের প্রভু হয়ে উঠবে না। মূর্তনির্দিষ্ট লক্ষ্যাণুসারে আইনের পরিবর্তন করেই কেবল রাষ্ট্রের ভেতরে বৈষম্যবিরোধী প্রবণতার নিরসন করা ও শ্রেণিনির্বিশেষের প্রভুত্বব্যবঞ্জকতাকে নির্মূল করা সম্ভব।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য