ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক রথীন্দ্র কুমার দাস স্মরণে শোকসভা টিলা কেটে সরকারি জায়গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বহুতল মার্কেট ছয় থানার ওসি বদলি কমিশনকে নজরে রাখবে রাজনৈতিক দলগুলো সালমান-আনিসুল হক ফের রিমান্ডে দেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা দেবে জার্মানি হাওরকে বাঁচতে দিন আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৪৭৬ প্রাণ কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৫ অক্টোবর “অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে, তবে তা সীমাহীন নয়” ইজারাকৃত সব জলমহালের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ পদ হারিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরছেন আ.লীগ নেতারা সাবেক ৩ সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউনেস্কো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ

কালো আইন বাতিল প্রসঙ্গে

  • আপলোড সময় : ১৩-০৯-২০২৪ ০৯:২০:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৯-২০২৪ ০৯:২০:৩১ পূর্বাহ্ন
কালো আইন বাতিল প্রসঙ্গে
গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সুনামকণ্ঠের একটি উদ্ধৃত সংবাদপ্রতিবেদন থেকে কালো আইনের তালিকা হচ্ছে বলে জানা যায়। বলা হয়েছে, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সব কালো আইনের তালিকা করা হয়েছে এবং শিগগিরই এ সব কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।’ এই জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন ও সাধধুবাদ জানাই। সন্দেহ নেই, রাষ্ট্রসংস্কারের পরিপ্রেক্ষিতে এটি (কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা) একটি যুগান্তকর পদক্ষেপ হয়ে উঠতে পারে। আমরা মনে করি, ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলের উপনিবেশ শাসনের জন্য প্রণীত জনবিরোধী আইনগুলো বাতিল করে স্বাধীন দেশ পরিচালনার উপযোগী আইন প্রবর্তন করা উচিত ছিল ১৯৪৭ সালের পরেই। কিন্তু ক্ষমতালোভী রাজনীতিকদের শ্রেণিস্বার্থ রক্ষার্থে আইন পরিবর্তনের কোনও চেষ্টা কখনওই করা হয় নি। তা করা হলে, সত্যিকার অর্থেই রাষ্ট্রকে বিমানবিক প্রবণতা থেকে মানবিকতার দিকে ফেরানো যেতো এবং এতোদিন পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রয়োজন হতো না। আমরা আশাবাদী আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার জনবিরোধী আইনগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো প্রয়োজনে বাতিল ও সংশোধন করবেন, যে আইনগুলো রাষ্ট্রকে জনগণের উর্ধে প্রতিষ্ঠিত করে প্রকারান্তরে রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রভুত্বব্যঞ্জক আচরণের উর্বর ক্ষেত্র তেরি করে, ক্ষেত্রবিশেষে ব্যক্তি মানুষের বাকস্বাধীনতাকে পর্যন্ত প্রতিহত করে। এতে করে এক শ্রেণি অন্য শ্রেণির মানুষের উপর খবরদারি করার সুযোগ পায় এবং প্রকারান্তরে তাদেরকে শোষণ করে নিজেরা ধনী ও ক্ষমতাধর হয়ে উঠে এবং পরিণতিতে সমাজে বিমানবিকতা চর্চার বিস্তার ঘটে, মানুষ পীড়নের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদী হয়ে উঠত পারে না। রাষ্ট্র মানুষের ভেতরে উদ্ভূত বিমানবিকতার নিরসনে সচেষ্ট হবে এটাই শ্রেণিনির্বিশেষে সকল মানুষের সর্বাগ্রে কাম্য। অর্থাৎ রাষ্ট্র কখনওই মানুষের প্রভু হয়ে উঠবে না। মূর্তনির্দিষ্ট লক্ষ্যাণুসারে আইনের পরিবর্তন করেই কেবল রাষ্ট্রের ভেতরে বৈষম্যবিরোধী প্রবণতার নিরসন করা ও শ্রেণিনির্বিশেষের প্রভুত্বব্যবঞ্জকতাকে নির্মূল করা সম্ভব।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য