সুনামগঞ্জ , সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ , ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মিলেমিশে যাদুকাটা সাবাড় সিলেট বিভাগের উন্নয়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে : আরিফুল হক চৌধুরী দিরাইয়ে শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিল ৭ দফা দাবিতে সওজ শ্রমিক ইউনিয়নের মানববন্ধন আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসে নারী সমাবেশ ও পিঠা উৎসব দল যাকে প্রার্থী দেবে, তার বিজয় নিশ্চিতে সবাইকে কাজ করার নির্দেশ শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তারেক রহমানের উদ্বেগ যাদুকাটায় ৫ দিনে অর্ধশত কোটি টাকার বালু লুট যুব রাজনীতিবিদ মুইনুদ্দিন জালালকে স্মরণ, তিনি ছিলেন সাহসী, পরোপকারী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, কোনো বাঁকা পথে যাবে না ইসি ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে মানুষ প্রস্তুত : কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন শান্তিগঞ্জে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সম্মেলন সম্পন্ন দোয়ারাবাজারে বিএনপি’র দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি এনসিপি ও চার বাম দল এইচএসসিতে ফল বিপর্যয়, অভিভাবকরা হতাশ যাদুকাটা নদীর তীরে গ্রামবাসীর মানববন্ধন, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও পাড়কাটা বন্ধের দাবি শাল্লায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব না : নির্বাচন কমিশনার সই হল ‘জুলাই সনদ’ বালু লুটের অভিযোগে মামলা,আসামির তালিকায় প্রতিবাদকারীদের নাম
হুমকির মুখে বসতবাড়ি, কৃষিজমি, রাস্তাঘাট, শত কোটি টাকার মৈত্রী সেতু, অদ্বৈত মন্দির

মিলেমিশে যাদুকাটা সাবাড়

  • আপলোড সময় : ২০-১০-২০২৫ ০৯:২০:৩৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-১০-২০২৫ ০৯:৪৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
মিলেমিশে যাদুকাটা সাবাড় ছবি: সাম্প্রতিক সময়ে যাদুকাটার পাড় কেটে বালু উত্তোলন।
বিশ্বজিত রায় মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ, যাদুকাটা থেকে ফিরে ::
★ধরা ছোঁয়ার বাইরে বালুখেকো মহাজনরা

মিলেমিশে লুট হচ্ছে তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীর খনিজ বালু। ইজারাদার, রাজনীতিক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় একটা অংশ এই লুটের বড় অংশীদার অভিযোগ স্থানীয়দের। ভাগ-বাটোয়ারায় কমবেশি হলেই লুটপাটে যুক্তরা একে অন্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে বলে জানিয়েছেন অনেকে।
গেল কয়দিনের বালুকান্ডে প্রশাসনের বেশ তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রশাসন কর্তৃক অভিযানে অনেক নিরীহ শ্রমিকের জেল-জরিমানা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে অন্তরালের বালুখেকো মহাজনরা। যদিও একাধিক মামলায় আলোচিত কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে। সম্পদশালী এই নদীর উৎপত্তি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড় থেকে। নদীটি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বারেকটিলা ও লাউড়গড়ের মাঝ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। একসময় এর দৈর্ঘ্য ছিল পাঁচ কিলোমিটার আর গড় প্রস্থ ৫৭ মিটার (১৮৭ ফুট)।
জানাযায়, একসময় ইজারাদার, পতিত সরকারের সংসদ সদস্য, জেলার নেতা ও প্রভাবশালী মহল মিলে দীর্ঘদিন লুটেপুটে খেয়েছে যাদুকাটা। এখন বিএনপির প্রভাবশালী নেতাসহ স্থানীয় বিত্তশালীরা ইজারাদারদের সাথে ব্যবসায়ী অংশীজন। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের এক বছরে সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে এই চক্র। বিশেষ করে গেল কয়দিনের (৭-১১ অক্টোবর) বালু লুটের ঘটনায় স্থানীয়রা হতভম্ব। এই তা-বে প্রায় শত কোটি টাকার বালু লুট হয়েছে ধারণা স্থানীয়দের।
গত ১৪ অক্টোবর তাহিরপুর থানায় বালুমহাল ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারায় ৫১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই দিনে তাহিরপুর থানার এসআই পংকজ দাশ বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
সুনামগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাইমিনুল হকও ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় আরেকটি মামলা করেছেন। ইজারাদারের পক্ষে করা মামলার আসামি নিয়ে সমালোচনা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীসহ আলোচিত কয়েকজনের নাম আছে।
এ মামলায় উপজেলার সোহালা গ্রামের বাসিন্দা তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বাদাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব উদ্দিন, তাঁর বড়ভাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাখাব উদ্দিন, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিৎ সরকার, নদী তীরের বাসিন্দা মোশাহিদ আলম ওরফে রানু মেম্বারের নাম আছে। রানু মেম্বার একই অভিযোগে এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বিগত কয়েকদিনে ইজারা বহির্ভূত নদীর পার ও জায়গা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন সংক্রান্ত মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন লাউড়েরগড় গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থক আব্দুল কাইয়ুম খেলু মাস্টার, বাদাঘাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খাজা মাঈন উদ্দিন, একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ কর্মী আবু বক্কর, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, পুরান লাউড় গ্রামের তিন সহোদর শিপন, শোভন, শাহান, বাদাঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গোলাপ মাহমুদের চাচাতো ভাই ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মান্নান।
স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী জানিয়েছেন, লাউড়েরগড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের (অব.) প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম খেলু মাস্টার ও বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় গ্রামের খাজা মাঈনউদ্দিন পার কাটা নেতৃত্বের অগ্রভাগে ছিল। সাধারণ শ্রমিকরা এদের নাম বলাবলি করছে। প্রথমে তারাই বালু নিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পরে তারাই প্রভাবশালীদের সাথে সমঝোতা করে বালু লুট শুরু করে।
সুনামগঞ্জের পরিবেশ আন্দোলন কর্মী ও বাদাঘাট এলাকার আবুল হোসেন বলেন, যাদুকাটার পার কাটা কর্মকান্ডে এখন ‘ঠেলার নাম বাবাজী’ অবস্থা প্রশাসনের। সবকিছু ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া, নদীর তীরে বাঁশের বেড়া দেওয়া পর্যন্ত কত আয়োজন। এই অবৈধ কর্মকা-ে কারা জড়িত সেটা পুলিশ, বিজিবি, প্রশাসন জানে। পাশাপাশি সবকিছু ইজারাদারের খেয়াল-খুশিতেই হচ্ছে।
জেলার বড় বালুমহাল যাদুকাটা-১ ও যাদুকাটা-২ নিয়ে এতদিন মামলা চলছিল। সর্বশেষ ১৯ আগস্ট শ্রমিকদের স্বার্থ, পার না কাটা এবং যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন না করার শর্তে বালুমহাল ইজারা দেওয়ার পক্ষে মত দেন আদালত। পরবর্তীতে এ দুই বালুমহাল ১০০ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। চলতি মাসে প্রশাসন ইজারাদারদের বালুমহাল বুঝিয়ে দিলে বালু উত্তোলন শুরু হয়। যা যাদুকাটা ধ্বংসের শেষ সীমা পর্যন্ত নিয়ে যায় বালু লুটকারীরা। যদিও ২৬ আগস্ট ফেসবুক পেজে পোস্ট করে সুনামগঞ্জের নদ-নদী ও মহালগুলোতে বালু লুটের ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা করেছিল জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক করেও প্রশাসন বালু লুট ঠেকাতে পারেনি। নিরীহ শ্রমিক জেল-জরিমানার শিকার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে অন্তরালের বালুখেকো মহাজনরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবক জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে পার কাটার জন্য যাদুকাটার তীরে হাজার হাজার নৌকা ঢুকেছে। পারের মালিক নামধারী লোকজন নল (১০ ফুটে এক নল) হিসেবে যাদুকাটার পার ইজারাদার পক্ষ কিংবা অন্য প্রভাবশালীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। পরে তারা রয়েলটি ২৫ টাকা ছাড়াও প্রতি ফুটে ২০ টাকা আদায় করেছে নৌকাওয়ালাদের কাছ থেকে। গত কয়েকদিনে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্প থেকে জিরো পয়েন্টসহ আশপাশ এলাকার প্রায় তিন নল করে পার কাটা হয়েছে। ভাগে যখন কম পড়ে তখন একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কথা বলা শুরু করে। মূল হোতাদের বাদ দিয়ে নিরীহ শ্রমিকদের জেল-জরিমানা দেয়া হচ্ছে, এ সব লোকদেখানো। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, স্থানীয় প্রভাবশালী, প্রশাসন কিছু লোক সব মিলেমিশেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইজারাদার শাহ রুবেল আহমদ বলেন, আমরা শুরু থেকেই ইজারা বহির্ভূত জায়গা থেকে বালু কাটার পক্ষে না। প্রায় দুইশ’ নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে এগুলো প্রতিহতের চেষ্টা করেছি। ইজারাবঞ্চিত প্রতিপক্ষ পুরোনো ছবি ভাইরাল করে আমাদেরকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। নদীর পার কেটে বালু তোলা বন্ধে সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের আবেদন করেছি। বালু লুট ঠেকাতে বাধ্য হয়ে নদীর তীরে বাঁশের বেড়া দিচ্ছি আমরা। সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে বালু-পাথরের এই খনিজ খনি দেখে মনে হয়েছে যাদুকাটা এখন তীরহারা এক প্রশস্ত নদী। দিন-রাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে একসময়ের অপ্রশস্ত যাদুকাটা এখন বসতবাড়ি, কৃষিজমি, রাস্তাঘাট হারিয়ে নিঃস্বপ্রায়। হুমকির মুখে নদীকেন্দ্রিক হাওর-বাওর, চর, ছড়া, পর্যটন স্পট শিমুল বাগান, বিজিবি ক্যাম্প, ঘাগটিয়া, লাউড়েরগড়, গড়কাটি, রাজারগাঁও, মোদেরগাঁওসহ অন্তত ১৫-২০টি গ্রাম, অদ্বৈত মন্দির, ৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতুসহ অনেক স্থাপনা।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, পার কাটতে কাটতে এই নদীর গড় প্রস্থ এখন এক কিলোমিটারের বেশি। ইজারার নিয়ম অনুযায়ী সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলনের কথা। কিন্তু সেইভ মেশিন (শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র) ও ড্রেজারের যান্ত্রিক তা-ব নদীর বুক ও তীরবর্তী এলাকা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছে বলছেন স্থানীয়রা।
পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে ইজারাদার কর্তৃক যাদুকাটার প্রতি ঘনফুট বালুর টোল (রয়েলটি) ছিল ১১ টাকা। ৫ আগস্টের পরে বিএনপির নেতাদের প্রতিবাদের মুখে সেই রয়েলটি আদায় হয়েছে ৯ টাকা। কিন্তু এখন এক লাফে ২৫ টাকা আদায় হলেও সেই আন্দোলনে বিএনপির প্রথম সারির নেতারা নীরব রয়েছেন।
বিএনপি কিছু কিছু নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করে সুনামগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, রয়েলটির বিষয়টি আমি প্রশাসনকে অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে আমি জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি বলেন, যাদুকাটা একসময় প্রায় ৪০০ ফিট চওড়া ছিল। পার কাটা কর্মকান্ডে এখন হাজার ফিট হয়েছে। নদীর পরিবেশ, তীরবর্তী বসতি, স্থাপনা রক্ষায় কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। যাদুকাটা রক্ষায় বালুমহাল বিলুপ্ত করে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণার দাবিতে ৮ অক্টোবর সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেছে যাদুকাটা নদী রক্ষা আন্দোলন। গত ২ অক্টোবর বালু লুটের তান্ডব ঠেকাতে নদীর পূর্ব তীরের লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী চরে নেমে আসে কয়েক হাজার মানুষ। অবস্থা বেগতিক টের পেয়ে পিছু হটে দুষ্কৃতকারীরা।
​​​জানা যায়, নদীর পার কাটা শুরু হয় ২০০১ সাল থেকে। শুরুর দিকে রাতের আঁধারে পার কাটা হলেও ২০২১ সালে বালুমহাল ইজারার পর দিনরাত চলে নদী ও পার কাটার মহোৎসব। নদীর তীরবর্তী জায়গা রক্ষা করতে না পেরে ভূমি মালিকরা বালুখেকো চক্রের কাছে বিক্রি করার পাশাপাশি কেউ কেউ বিনামূল্যেই জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নদীর পার কাটার বিরুদ্ধে ইজারাদারের পক্ষ থেকে ৫১ জনসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। যাদুকাটা নদীর পরিবেশ এখন শান্ত। অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের আইনী কার্যক্রম চলমান আছে।
সুনামগঞ্জ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জাকারিয়া কাদির বলেন, গভীর রাতে ইজারা বহির্ভূত এলাকায় বালু উত্তোলন শুরু হয়। যা বিজিবির একার পক্ষে ঠেকানো সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনকে আমরা লিখিতভাবে অবহিত করেছি। একটি স্থায়ী পোস্ট স্থাপন, নিয়মিত টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা এবং অনিয়ম করলে ইজাদারের ইজারা বাতিল করার ব্যাপারে আমরা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, যাদুকাটার পার কাটার ঘটনায় ইজারাদারকে শোকজ করা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ইজারা বাতিল হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
মিলেমিশে যাদুকাটা সাবাড়

মিলেমিশে যাদুকাটা সাবাড়