সুনামগঞ্জ - ৫
আলোচনায় বিএনপির দুই হেভিওয়েট প্রার্থী
- আপলোড সময় : ০৮-১০-২০২৫ ০৭:৫৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৮-১০-২০২৫ ০৭:৫৪:৩৫ পূর্বাহ্ন

মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
শিল্পকারখানা, হাওর-বাওর ও সুরমা পাড়ের দুই উপজেলা ছাতক ও দোয়ারাবাজার নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-৫ সংসদীয় আসন। ২০২৩ সালের সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৮ হাজার ১০০ জন।
স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি পালাক্রমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের আব্দুস সামাদ আজাদসহ মুহিবুর রহমান মানিক ৫ বার, বিএনপির কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ৩ বার, আর জাতীয় পার্টির আবুল হাসনাত মো. আব্দুল হাই ২ বার ও আব্দুল মজিদ মাস্টার ১ বার নির্বাচিত হন।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা এখন মুক্তভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সামনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির দুই হেভিওয়েট প্রার্থী দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক স¤পাদক ও জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী।
কলিম উদ্দিন মিলন তিনবারের সাবেক এমপি, আর মিজানুর রহমান চৌধুরী ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন এবং ওই নির্বাচনে প্রথম বারই বাজিমাত করেছিলেন।
আওয়ামী সরকারের পতনের পর এখন সারা দেশের মতোই সুনামগঞ্জ-৫ আসনেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। গ্রাম-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় আলোচনার মূল বিষয়- কে হচ্ছেন আগামী নির্বাচনে ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের কা-ারী?
রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন মাঠে তৎপর। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ ছাড়া প্রায় সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
এদিকে ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোও একক প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে প্রচারণায় নেমেছে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে মাওলানা আব্দুস সালাম আল-মাদানীকে, যিনি ১৯৯১ সালে মিনার প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। দলের নেতাকর্মীরা বর্তমানে মাঠপর্যায়ে সক্রিয়। জামায়াত এ আসনে তাদের শক্ত অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে।
খেলাফত মজলিসও একক প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী নেতা হাফিজ মাওলানা আব্দুল কাদিরকে। ‘দেয়াল ঘড়ি’ প্রতীকের প্রচারণায় বর্তমানে তাদের অবস্থানও বেশ জোরালো।
এ আসনে আরও রয়েছেন পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মাওলানা আলী আকবর, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা সাদিক সালীম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুরুল হক।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন সমাজসেবক ও জাবা মেডিক্যাল সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক ছাত্রনেতা, প্রযুক্তিবিদ ড. জয়নাল আবেদীন।
ভোটারদের প্রত্যাশা- যেন তাঁরা নির্বিঘেœ ও নিরাপদে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
ছাতক-দোয়ারাবাজারের নাগরিকরা মনে করছেন, এবার তাঁরা এমন একজন প্রতিনিধিকে বেছে নিতে চান যিনি প্রকৃত অর্থে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নিবেদিত থাকবেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ