সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুখ থুবড়ে পড়েছে ছাতক স্লিপার কারখানা নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : জেলা প্রশাসক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে : আনিসুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন পার্লামেন্ট হিল অটোয়া: সুখেন্দু সেন টাঙ্গুয়ার হাওরে ভাসমান বাজার উদ্বোধন গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় : আইএসপিআর মসজিদে ঢুকে নামাজরত ভাইকে হত্যা চৌধুরী মনসুর আহমদ স্মরণে শোকসভা, তিনি মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন ষড়যন্ত্র রুখতে মাঠে থাকবে যুবদল টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ ভিডিও পোস্ট, প্রতিবাদে থানায় জিডি দোয়ারাবাজারে গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের দাবি জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল তাহিরপুরে অগ্নিকান্ডে তিনটি দোকান পুড়ে ছাই এনসিপি’র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ নাব্যতা হারাচ্ছে খাসিয়ামারা নদী দ্রুত খননের দাবি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশসেরা সুনামগঞ্জ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা “রাজাকারদের উৎখাতে স্বেচ্ছাসেবক দলই যথেষ্ট”

যুদ্ধের ডাক

  • আপলোড সময় : ১১-০৯-২০২৪ ০৩:৩৯:০২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৯-২০২৪ ০৩:৩৯:০২ পূর্বাহ্ন
যুদ্ধের ডাক
মোছাঃ মাহমুদা চৌধুরী রোজী:: আট বছরের হাসি-খুশি চঞ্চল মেয়ে খুশি। অবাধে ছুটে বেড়ায় পাড়াময়। বাধাহীন গ-ীহীন নিঃসঙ্কোচ পথচলা তার। ছমির মিয়ার মেয়ে খুশিকে সবাই এক নামে চেনে। ছোট-বড় সবাই তাকে ভালোবাসে, আদর করে। কখনো ফড়িং ধরে, কখনো প্রজাপতির পেছনে ছুটে চলে; কখনোবা বাবার সাথে গরুর গাড়িতে চেপে ক্ষেতে যায়। গরুর গাড়ি চড়তে তার খুব ভালো লাগে। পরিবারে তার মা-বাবা আর দাদী। হাসি আনন্দে কাটছে তাদের দিন। হঠাৎ একদিন ছমির মিয়া স্ত্রীকে ডেকে বলল- “বউ যুদ্ধ লেগে গেছে। শুনেছি ঢাকার অবস্থা খুব খারাপ। চারদিকে সাজ সাজ রব। আমাকে ও যুদ্ধে যেতে হবে।” যুদ্ধের কথা শুনে খুশির মা ভয়ে আঁতকে উঠে। সন্ধ্যার পর সবকিছু একেবারে নীরব নিস্তব্ধ। খুশি বাবার কাছে জানতে চায় কি হয়েছে? বাবা বলেন- মা রে যুদ্ধ শুরু হইছে। স্বাধীনতার যুদ্ধ। খুশি কিছু বুঝতে পারে না। শুধু বুঝতে পারে ভয়ানক ভয়াবহ কিছু একটা হয়েছে। পরদিন ভোরবেলা ছমির মিয়া মা-কে সালাম করে যুদ্ধে চলে যায়। তারপর একদিন খুব ভোরে বিকট শব্দে খুশির মা-দাদীর ঘুম ভেঙে যায়। জেগে উঠে খুশিও। ভয়ে মাকে আঁকড়ে ধরে। গুলির শব্দ। বাইরে অনেকগুলো বুটের আওয়াজ। হঠাৎ দরজায় লাথির শব্দ। তিনজন মানুষ ভয়ে গুটিসুটি মারে। দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে পাক হানাদার বাহিনী। লাথি মেরে ফেলে দেয় খুশি আর তার দাদীকে। ধরে নিয়ে যায় খুশির মাকে। খুশি চিৎকার করতে চায়। দাদী মুখ চেপে ধরেন সজোরে। খুশির মাকে নিয়ে ওরা চলে যায়। খুশির জীবন থেকে চিরতরে হারিয়ে যায় হাসি-খুশি, চঞ্চল সোনালী দিন, নিঃশেষ হয়ে যায় সবকিছু নিমিষেই। খুশির দাদী চোখ মুছতে মুছতে খুশিকে নিয়ে অচেনা পথে পা বাড়ান। একদিন দেশ স্বাধীন হয়। রক্তের দামে বিজয় আসে। সবাই ঘরে ফিরে আসে। খুশিও দাদীর হাত ধরে বাড়ি ফিরে। ফিরে আসে না শুধু খুশির মা-বাবা। দাদী তাকে কোলে নিয়ে আদর করেন। সান্ত¡না দেন। বলেন, তোর মা-বাবা দেশের জন্য শহীদ হয়েছে। তুই তাদের গর্বিত সন্তান। খুশি কি বুঝলো কে জানে। অস্ফুট স্বরে শুধু বলল- বাবা শহিদ! এই মাটি আমার মা....।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য