সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫ , ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‎জামালগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উকিলপাড়ায় পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গমন : দুর্ঘটনার আশঙ্কা দুর্গাপূজা : মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ৩ ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা পথে যেতে যেতে: পথচারী সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ! ‎জামালগঞ্জে 'উন্নতি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির' শিক্ষা উপকরণ ও  বস্ত্র বিতরণ সুনামগঞ্জে 'ধর্ষণ মামলায়' আসামিদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড আজীবন জনগণের সেবা করতে চাই : পাবেল চৌধুরী ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’ সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জামালগঞ্জে জগন্নাথ জিউর মন্দির পরিদর্শনে এমপি প্রার্থী মাহবুব সীমান্তের ৩৫ পূজামন্ডপে বিজিবি’র বাড়তি সতর্কতা, ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শিগগিরই গঠন হচ্ছে নতুন ২ বিভাগ ও ২ উপজেলা মহাসড়কে অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করতে হবে

ফার্মেসিতে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি বন্ধে কঠোর হোন

  • আপলোড সময় : ৩০-০৯-২০২৫ ০১:১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৯-২০২৫ ০১:১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
ফার্মেসিতে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি বন্ধে কঠোর হোন
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন ফার্মেসিতে চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত ফিজিশিয়ান স্যা¤পল বা নমুনা ঔষধ দেদারসে বিক্রি হচ্ছে - এমন চিত্র উঠে এসেছে গতকাল সোমবার প্রকাশিত দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র প্রতিবেদনে। এই অনৈতিক ও বেআইনি বাণিজ্য শুধু রোগীকে প্রতারিত করছে না, বরং জাতীয় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক সংকট ডেকে আনছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ফিজিশিয়ান স্যাম্পলের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। নতুন কোনো ঔষধ বাজারে আসার আগে ডাক্তারদের হাতে এসব স্যাম্পল তুলে দেওয়া হয় যাতে তারা কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যাচাই করতে পারেন। পাশাপাশি দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে সহায়তা করার নৈতিক সুযোগও থাকে এ ব্যবস্থার মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে স্যাম্পলগুলো ফার্মেসিতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সাধারণ ঔষধের মতো। ফলে যে উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা আজ ধূলিসাৎ। এই অনিয়মের তিনটি বড় ক্ষতি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। প্রথমত, স্যাম্পল ঔষধ বাজারজাত পণ্যের মতো মান যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যায় না। এতে মেয়াদোত্তীর্ণ বা নি¤œমানের ঔষধ রোগীর হাতে পৌঁছে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এসব ঔষধ বিক্রি হওয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের মতো ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তৃতীয়ত, এ প্রক্রিয়া ঔষধ শিল্পের নৈতিকতা ও স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং চিকিৎসক-ফার্মেসি-ঔষধ কোম্পানি - সবখানেই দুর্নীতির জায়গা তৈরি করছে। ফার্মেসিতে পড়ে থাকা Not for sale’ লেখা মোড়ক কিংবা র‌্যাকে সাজানো স্যাম্পল ঔষধের দৃশ্য প্রমাণ করে প্রশাসনিক নজরদারি কার্যকর নয়। ঔষধ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের অভিযানের তৎপরতা থাকলেও এর প্রভাব খুব সীমিত। অন্যদিকে অসাধু প্রতিনিধি ও চিকিৎসকদের যোগসাজশে এই অবৈধ ব্যবসা দিন দিন বিস্তার লাভ করছে। আমাদের স্পষ্ট দাবি, ফিজিশিয়ান স্যা¤পল বিক্রির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি অবলম্বন করতে হবে। এজন্য, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অনিয়ম ধরা ও জরিমানা নয়, বরং ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ঔষধ কোম্পানি ও প্রতিনিধিদের কার্যক্রমে কড়া নজরদারি প্রয়োজন। ডাক্তারদের নৈতিক অবস্থান জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে, যাতে তারা স্যাম্পল বাজারে ছাড়তে না পারেন। সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে- ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’ লেখা ঔষধ কেনা মানে নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলা। জনস্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই। রোগীর আস্থা ও জীবনের নিরাপত্তা সবার আগে। তাই সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি অবিলম্বে বন্ধ করা রাষ্ট্র ও সমাজের যৌথ দায়িত্ব।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স