সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫ , ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‎জামালগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উকিলপাড়ায় পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গমন : দুর্ঘটনার আশঙ্কা দুর্গাপূজা : মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ৩ ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা পথে যেতে যেতে: পথচারী সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ! ‎জামালগঞ্জে 'উন্নতি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির' শিক্ষা উপকরণ ও  বস্ত্র বিতরণ সুনামগঞ্জে 'ধর্ষণ মামলায়' আসামিদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড আজীবন জনগণের সেবা করতে চাই : পাবেল চৌধুরী ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’ সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জামালগঞ্জে জগন্নাথ জিউর মন্দির পরিদর্শনে এমপি প্রার্থী মাহবুব সীমান্তের ৩৫ পূজামন্ডপে বিজিবি’র বাড়তি সতর্কতা, ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শিগগিরই গঠন হচ্ছে নতুন ২ বিভাগ ও ২ উপজেলা মহাসড়কে অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করতে হবে

সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা: এভাবে আর কত প্রাণ ঝরে যাবে?

  • আপলোড সময় : ২৮-০৯-২০২৫ ০২:০০:৪৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৯-২০২৫ ০২:০০:৪৯ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা: এভাবে আর কত প্রাণ ঝরে যাবে?
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাগলা বাজারের বাঘেরকোণা এলাকায় মা-মেয়েসহ তিনজনের করুণ মৃত্যু আমাদের আবারও নাড়া দিয়ে গেল। মিনি ট্রাকের বেপরোয়া গতি, অটোরিকশার অসহায়ত্ব আর সড়কে নিরাপত্তাহীনতার এই চিত্র কোনো নতুন কিছু নয়। কিন্তু প্রতিবারের মতোই প্রশ্ন জাগে- এভাবে আর কত প্রাণ ঝরে যাবে, আর কত পরিবার অসহায় হয়ে পড়বে? শুক্রবার সকালের এই দুর্ঘটনায় নিহত হন আঁখি দাস ও তার কিশোরী কন্যা মধুরিমা দাস প্রথমা, সঙ্গে ছিলেন অটোরিকশা চালক সজল গোপ রায়। তারা কেউই এভাবে অকালে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। একটি পরিবারের দুটি প্রজন্ম একসঙ্গে নিভে যাওয়া কেবল একটি দুর্ঘটনা নয় - এটি আমাদের সড়ক ব্যবস্থার ব্যর্থতার নির্মম প্রতিচ্ছবি। সুনামগঞ্জে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অগণিত মানুষ। সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কও অনিরাপদ হয়ে উঠছে। এসব ঘটনার প্রত্যেকটির পেছনে মূল কারণ একই- বেপরোয়া গতি, সড়ক আইন অমান্য, এবং কার্যকর নজরদারির অভাব। প্রশ্ন হলো- যতবারই দুর্ঘটনা ঘটে, পুলিশ মামলা করে, চালক গ্রেপ্তার হয়; তারপরও কেন মৃত্যুর মিছিল থামছে না? কেন আমাদের সড়কগুলো মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হচ্ছে? সড়ক নিরাপত্তার জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কঠোর হতে হবে, পাশাপাশি সড়ক অবকাঠামো সংস্কার জরুরি। অন্যদিকে যাত্রীবাহী ছোট যানবাহন যেমন সিএনজি, যাদের জীবিকা এই গাড়ির ওপর নির্ভরশীল, তারা প্রায়শই বিশাল ট্রাক বা বাসের সঙ্গে একই সড়ক ভাগ করে চলে। কিন্তু তাদের জন্য কোনো আলাদা লেন বা সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রতিটি যাত্রা তাদের কাছে মৃত্যুঝুঁকি বহন করে। এখন সময় এসেছে সরকারের পাশাপাশি সমাজেরও এই প্রশ্ন করার- এভাবে আর কত? আমরা কি প্রতিটি দুর্ঘটনার পর কয়েকদিন শোক পালন করে আবার আগের মতো চলতে থাকব? নাকি এবার সত্যিই পরিবর্তন চাইব? প্রতিটি প্রাণের মূল্য আছে। আঁখি দাস, মধুরিমা বা সজল গোপকে হারানোর বেদনা শুধু তাদের পরিবারের নয়, আমাদের পুরো সমাজের। তাই এখনই প্রয়োজন সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কঠোর ব্যবস্থা, নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলার কার্যকর পদক্ষেপ এবং বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা। নইলে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে আমাদের মহাসড়কগুলো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স