জেলাজুড়ে দুর্গোৎসবের আমেজ, আজ মহাষষ্ঠী
- আপলোড সময় : ২৮-০৯-২০২৫ ০৮:২৯:১৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৮-০৯-২০২৫ ০৮:২৯:১৮ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
আজ রবিবার মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গোৎসবের আমেজ। দুর্গাপূজা উপলক্ষে আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে ছোট বড় প্রতিটি পূজাম-প। ঝলমলে কাপড়ের আবরণে ফুটে উঠেছে এক অনন্য সৌন্দর্য। তার ওপর রঙ-বেরঙয়ের বৈদ্যুতিক লাইটের সমারোহ।
শনিবার সরেজমিনে শহরের নতুনপাড়া, ষোলঘর, উকিলপাড়াসহ বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে দেখা গেছে, পূজা উদযাপনের জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ। মহাষষ্ঠীর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সবাই।
এদিকে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী নিয়মিত টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ছিল দুর্গাপূজার বোধন। পুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা যখন দক্ষিণায়নে নিদ্রিত থাকেন, তখন এই বোধনের মাধ্যমে তাঁর নিদ্রা ভাঙানো হয় এবং বন্দনা পূজা সম্পন্ন হয়। ম-প ও মন্দিরে এ বোধন সাধারণত সন্ধ্যায় বা পঞ্চমীতে অনুষ্ঠিত হয়। বোধন শব্দের অর্থ হলো জাগরণ বা চৈতন্য প্রাপ্তি। শরৎকালীন দুর্গাপূজায় বোধন করার বিশেষ বিধান রয়েছে। বিভিন্ন পুরাণে বলা আছে, ভগবান রামচন্দ্রও শরৎকালে রাক্ষসরাজ রাবণকে বধের উদ্দেশ্যে দুর্গাপূজা করেছেন। এ কারণে তাকে অকালবোধন বলা হয়। অন্যদিকে বসন্তকালে চৈত্র মাসে অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজায় এ বোধনের প্রয়োজন হয় না। সাধারণত ষষ্ঠী তিথির সন্ধ্যায় দেবী দুর্গার বোধন হয়। তবে পঞ্জিকার হিসাব অনুযায়ী কিছু বছর ষষ্ঠী তিথি সন্ধ্যায় শুরু হচ্ছে না বা পরের দিন যথেষ্ট সময় নেই। শাস্ত্র অনুযায়ী, যদি ষষ্ঠীর সন্ধিকাল পাওয়া না যায়, তবে পঞ্চমীর সন্ধ্যায়ই বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস স¤পন্ন করতে হয়। এ বছর তিথির এ কারণে শনিবার পঞ্চমীর সন্ধ্যায় দেবী দুর্গার বোধন করা হবে।
বোধনের পর আজ রবিবার দেবী দুর্গার ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচ দিনের এই পূজা উৎসব ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ