সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে 'ধর্ষণ মামলায়' আসামিদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড আজীবন জনগণের সেবা করতে চাই : পাবেল চৌধুরী ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’ সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জামালগঞ্জে জগন্নাথ জিউর মন্দির পরিদর্শনে এমপি প্রার্থী মাহবুব সীমান্তের ৩৫ পূজামন্ডপে বিজিবি’র বাড়তি সতর্কতা, ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শিগগিরই গঠন হচ্ছে নতুন ২ বিভাগ ও ২ উপজেলা মহাসড়কে অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করতে হবে অভিনব কৌশলে চলছে মাদকের রমরমা কারবার দোয়ারাবাজারে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন জেলাজুড়ে দুর্গোৎসবের আমেজ, আজ মহাষষ্ঠী ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র চাইলে বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সংসদে পাঠাতে হবে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছাতকে ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন গ্রেপ্তার বিশ্বম্ভরপুরে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে শঙ্কা ও উদ্বেগ বাড়ছে : হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ নিহত ৩

জুমগাঁওয়ের পানি সংকট সমাধান জরুরি

  • আপলোড সময় : ২৭-০৯-২০২৫ ০৮:৪৫:৫১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৯-২০২৫ ০৮:৪৫:৫১ পূর্বাহ্ন
জুমগাঁওয়ের পানি সংকট সমাধান জরুরি
পানি ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না। অথচ দোয়ারাবাজার উপজেলার জুমগাঁও পাহাড়ের খ্রিস্টানপাড়ায় বসবাসরত গারো সম্প্রদায়ের প্রায় ৭০টি পরিবার বছরের পর বছর সুপেয় পানির তীব্র সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে। খাবার পানি সংগ্রহের জন্য তাদেরকে প্রতিদিন পাহাড়ি দুর্গম পথ বেয়ে এক কিলোমিটার দূরের ঝর্ণা বা ছড়ার উপর নির্ভর করতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে এই দুর্ভোগ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। অতীতে তিনটি রিংওয়েল স্থাপন করা হলেও পাহাড়ে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর না থাকায় সেগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ফলে সমস্যা থেকে যাচ্ছে অনিরসনযোগ্য অবস্থায়। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা যখন দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে, তখন জুমগাঁওবাসীর এই চরম সংকট সত্যিই দুঃখজনক। মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে পানির নিশ্চয়তা প্রদানে রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বেদনা মর্ম¯পর্শী। “আমরা সংখ্যালঘু আদিবাসীদের কষ্টের কথা কে শুনবে?” - এমন প্রশ্ন শুধু এক গ্রামের নয়, বরং প্রান্তিক মানুষের সামগ্রিক বঞ্চনার প্রতিধ্বনি। উন্নয়ন ও মানবিক ন্যায়বিচারের মানদ-ে এই চিত্র অগ্রহণযোগ্য। এখন সময় এসেছে কথার ফুলঝুরি নয়, কার্যকর সমাধানের। উপজেলা প্রশাসন বিকল্প উদ্যোগ হিসেবে সমতলে গভীর নলকূপ স্থাপন করে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে, যা কার্যকর বাস্তবায়ন করা জরুরি। পাশাপাশি পাহাড়ি অঞ্চলের প্রাকৃতিক উৎসগুলো সংরক্ষণ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ছোট আকারের রিজার্ভার নির্মাণও বিবেচনায় আনা যেতে পারে। স্মরণ রাখতে হবে, পানি সংকট শুধু গারো সম্প্রদায়ের সমস্যা নয় -এটি মানবাধিকারের প্রশ্ন। রাষ্ট্রের দায়িত্বই হলো সংখ্যালঘু, প্রান্তিক কিংবা দুর্গম অঞ্চলের প্রতিটি নাগরিককে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা দেওয়া। তাই অবিলম্বে পরিকল্পিত ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে, জুমগাঁওয়ের মানুষের দুর্দশা আরও দীর্ঘায়িত হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স