সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫ , ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‎জামালগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উকিলপাড়ায় পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গমন : দুর্ঘটনার আশঙ্কা দুর্গাপূজা : মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ৩ ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা পথে যেতে যেতে: পথচারী সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ! ‎জামালগঞ্জে 'উন্নতি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির' শিক্ষা উপকরণ ও  বস্ত্র বিতরণ সুনামগঞ্জে 'ধর্ষণ মামলায়' আসামিদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড আজীবন জনগণের সেবা করতে চাই : পাবেল চৌধুরী ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’ সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জামালগঞ্জে জগন্নাথ জিউর মন্দির পরিদর্শনে এমপি প্রার্থী মাহবুব সীমান্তের ৩৫ পূজামন্ডপে বিজিবি’র বাড়তি সতর্কতা, ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শিগগিরই গঠন হচ্ছে নতুন ২ বিভাগ ও ২ উপজেলা মহাসড়কে অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করতে হবে

আ.লীগের অপরাধীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত

  • আপলোড সময় : ২৬-০৯-২০২৫ ০৯:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৯-২০২৫ ০৯:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন
আ.লীগের অপরাধীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ওই বৈঠকে। বৈঠকের সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘মুজিববাদী সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে এবং এদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দুর্গাপূজায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নাশকতা চালাতে পারে বলে গত রোববার অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ১৪তম সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। অপরাধীরা গ্রেপ্তারের পর যাতে সহজে জামিনে ছাড়া না পায়, সে বিষয়েও পদক্ষেপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সভায় জানানো হয়- রিকশাশ্রমিক, চাকরিচ্যুত বিডিআর ও আনসার সদস্য, পল্লি বিদ্যুতের কর্মীদের আন্দোলন, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, নার্স, আয়ুর্বেদিক ডাক্তার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বনাম বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, চা-শ্রমিক এবং বেক্সিমকোসহ পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলন দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জনদুর্ভোগ এড়াতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনুমোদন ছাড়া রাস্তাঘাট বা জনসাধারণের চলাচলের পথে সভা-সমাবেশ আয়োজন করা যাবে না। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে দেওয়া নির্দেশনাসমূহ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বেআইনি সমাবেশ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করতে বলা হয়। সেগুলো হলো- বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অন্য সংশ্লিষ্টদের সব ধরনের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করে কোনো ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বা অপরাধী যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধমূলক কর্মকা- রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। এছাড়া, অভিযান পরিচালনার সময় নিরপরাধ ব্যক্তি যেন কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কেবল প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এই অভিযানের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন চাঁদাবাজি বা অন্য কোনো অনৈতিক কর্মকা-ে লিপ্ত হতে না পারে, সে বিষয়েও কঠোর নজরদারি করতে হবে। সভার সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও বাংলাদেশ সচিবালয় এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার, প্রবেশ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উৎসবসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানকে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে স¤পন্ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও তৎপরতা অবলম্বন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশের প্রধান প্রধান মহাসড়কে (ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়ক) সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার বিষয়ে বলা হয়। জনদুর্ভোগ এড়াতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোনোরূপ অনুমতি ছাড়াই রাস্তা বা জনসাধারণের চলাচলের পথে সভা-সমাবেশ আয়োজন করা যাবে না। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে দেওয়া নির্দেশনাসমূহ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে দল, মত, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে দ্রুত ও যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ঢাকা মহানগরী এলাকায় যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রুটিন দায়িত্ব পালনকারী অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) খন্দকার মাহাবুবুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা মুজিববাদী বুঝি না। একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের পক্ষে যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। -আজকের পত্রিকা

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স