সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫ , ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‎জামালগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উকিলপাড়ায় পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গমন : দুর্ঘটনার আশঙ্কা দুর্গাপূজা : মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ৩ ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা পথে যেতে যেতে: পথচারী সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ! ‎জামালগঞ্জে 'উন্নতি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির' শিক্ষা উপকরণ ও  বস্ত্র বিতরণ সুনামগঞ্জে 'ধর্ষণ মামলায়' আসামিদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড আজীবন জনগণের সেবা করতে চাই : পাবেল চৌধুরী ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’ সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জামালগঞ্জে জগন্নাথ জিউর মন্দির পরিদর্শনে এমপি প্রার্থী মাহবুব সীমান্তের ৩৫ পূজামন্ডপে বিজিবি’র বাড়তি সতর্কতা, ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শিগগিরই গঠন হচ্ছে নতুন ২ বিভাগ ও ২ উপজেলা মহাসড়কে অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করতে হবে

ব্যস্ততম সড়কে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ বন্ধ করুন

  • আপলোড সময় : ২৪-০৯-২০২৫ ০১:০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৯-২০২৫ ০১:০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
ব্যস্ততম সড়কে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ বন্ধ করুন
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলোতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে - এটি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক ও বিপজ্জনক একটি প্রবণতা। অনুমোদনহীনভাবে, সড়কের ফিটনেসবিহীন গাড়ি ব্যবহার করে এবং ট্রাফিক নিয়ম উপেক্ষা করে যেভাবে এসব প্রশিক্ষণ চলছে, তা শহরের সাধারণ নাগরিকদের জন্য এক নতুন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। আমরা দেখেছি, স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের সময়, কর্মজীবী মানুষের ব্যস্ততম সময়ে কিংবা ভিড় জমে থাকা সড়কেই এসব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এতে শিক্ষানবিশ চালকের হঠাৎ ব্রেক কষা, লেন পরিবর্তন বা গতি নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে। একজন অভিভাবক যেমন বলেছেন, প্রতিদিন বাচ্চাকে স্কুলে আনা-নেয়ার সময় ‘প্রশিক্ষণ কার’ দেখলেই ভয়ের সঞ্চার হয়। এ ভীতি শুধু তার নয়, পুরো শহরের সাধারণ মানুষের। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ মাঠ বা কম ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করা হয়। সেখানে পর্যাপ্ত দক্ষতা অর্জনের পরেই শিক্ষানবিশদের মূল সড়কে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়। অথচ আমাদের বাস্তবতায় কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই সরাসরি ব্যস্ততম সড়কে প্রশিক্ষণ চলছে। এটি কেবল অসচেতনতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির উদাহরণ। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), ট্রাফিক পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানলেও কার্যত তারা ‘না দেখার ভান’ করছেন। তাদের এই দায়িত্বহীনতা শহরের নাগরিকদের জীবনকে প্রতিদিন ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। দুর্ঘটনায় আহত বা প্রাণহানির দায় কি শুধু শিক্ষানবিশ চালকের, নাকি সেইসব কর্তৃপক্ষেরও - এ প্রশ্ন আজ ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি, ব্যস্ততম সড়কে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। প্রশিক্ষণের জন্য বিকল্প স্থান নির্ধারণ করতে হবে, যেমন শহরের বাইরে নির্দিষ্ট মাঠ বা কম ব্যস্ত সড়ক। প্রতিটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ও কার্যক্রম নিয়মিতভাবে তদারকি করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা এ দেশের দীর্ঘদিনের মহামারি। এখানে অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বহীনতা ও স্বজনপ্রীতির সুযোগে প্রতিদিনই নতুন নতুন ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ব্যস্ত সড়কে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ - এই অযৌক্তিক ও বিপজ্জনক প্রবণতা বন্ধ না হলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটতে পারে। কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান-দুর্ঘটনার ভয়াবহতা বৃদ্ধির আগেই এই অনিয়মের লাগাম টেনে ধরুন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স