সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ , ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে শান্তিগঞ্জে ফলোআপ কর্মশালা যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ র‌্যালি সুরমার ঘাটে ঘাটে ময়লার ভাগাড় আজ ‘জেলা প্রশাসন মেধা যাচাই বৃত্তি পরীক্ষায় বসছে ৭৬ হাজার ৪৮৫ শিক্ষার্থী ধোপাজানে অবৈধভাবে ১৪ দিনে ২৪ কোটি টাকার সিলিকা বালু লুট জুলাই আন্দোলনের পর সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন আমলারা : হাসনাত আবদুল্লাহ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ধর্মপাশায় সড়ক পুনঃনির্মাণের দাবিতে অবরোধ যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত গণভোটে কী হবে? কলেজে টিকটক-লাইকির ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি সুনামগঞ্জে শব্দদূষণ বিরোধী অভিযান: ৫ যানবাহনকে জরিমানা, জব্দ ৭ হাইড্রোলিক হর্ণ দোয়ারাবাজারে স্কুলছাত্রীকে হত্যার চেষ্টা, বখাটের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ৭০ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের ১০ লাখ টাকার চেক ফেরত দিয়েছি, কর্মীর ভালোবাসা গ্রহণ করেছি : কামরুজ্জামান কামরুল শহরে অনুমোদনবিহীন পোস্টার-ব্যানার অপসারণের নির্দেশ ধোপাজান খুবলে খাচ্ছে ‘লিমপিড ইঞ্জিনিয়ারিং’ সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ৫ লাখ মানুষ নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেয়ার আহ্বান বিএনপি মহাসচিবের

হাওরের বুক চিরে বিশ্ববিদ্যালয় নয়

  • আপলোড সময় : ১০-০৯-২০২৫ ১২:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৯-২০২৫ ১২:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন
হাওরের বুক চিরে বিশ্ববিদ্যালয় নয়
সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। একটি জেলার শিক্ষাগত অগ্রগতির জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করার পথ খুলে দেয়। কিন্তু যে জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি দেখার হাওর এলাকার ভেতরে - এই সিদ্ধানমশ নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠেছে। দেখার হাওর শুধু ধানের ভা-ার নয়, বরং মিঠাপানির মাছ, পাখি ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্যেরও আশ্রয়স্থল। স্থানীয় কৃষকরা বছরের প্রায় সাত মাস এই হাওরে ধান ও মাছের ওপর নির্ভরশীল। যে জায়গাটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যা¤পাসের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, সেটি নিয়মিত পানির নিচে থাকে। বর্ষায় এখানে পানির গভীরতা পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়। ফলে এই জমি ভরাট করে বিশাল স্থাপনা তৈরি করা মানে শুধু একটি প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান ধ্বংস করা নয়, বরং দীর্ঘ মেয়াদে কৃষি, মৎস্য ও পরিবেশের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করা। এখনই দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য ক্যাম্পাসের চারপাশে রাস্তা নেই, বিদ্যমান জমি আবাদযোগ্য, এমনকি কবরস্থান ও বীজতলার মতো গুরুত্বপূর্ণ জমিও এর মধ্যে পড়ছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত পরিবেশগত এবং সামাজিক দিক থেকে টেকসই নয়। তাছাড়া হাওরের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয় হলে স্বাভাবিকভাবেই আশপাশে নতুন জনপদ, দোকানপাট, আবাসন গড়ে উঠবে। এতে নদী-নালা ভরাটের প্রবণতা বাড়বে এবং পুরো হাওর অঞ্চলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে, জেলা সদরের কাছেই কয়েকটি তুলনামূলক উঁচু জায়গার প্রস্তাব এসেছে- যেমন যোগীরগাঁও, রতনশ্রী বা হাসননগরের আশপাশ। এগুলো শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য যোগাযোগ ও বসবাসের দিক থেকেও অনেক বেশি সুবিধাজনক। সবচেয়ে বড় কথা, পরিবেশ রক্ষা করে শিক্ষা অবকাঠামো গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করলেও স্থায়ী ক্যা¤পাসের অভাবে এগুলো কাক্সিক্ষত মানে পৌঁছাতে পারেনি। সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পাঠদান ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে, তবে স্থায়ী ক্যা¤পাস বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ভবন নয়, এটি জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। হাওরের বুক চিরে সেই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা হলে তা হবে অদূরদর্শী। তাই সরকারের উচিত পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যা¤পাস নির্মাণ করা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ