তাহিরপুরে স্ত্রীর নির্যাতন ও মামলার প্রতিবাদে স্বামীর মানববন্ধন
- আপলোড সময় : ০৯-০৯-২০২৪ ০৮:৫৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৯-০৯-২০২৪ ০৮:৫৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

তাহিরপুর প্রতিনিধি ::
তাহিরপুরে স্ত্রী নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকালে উপজেলার বাদাঘাট সংলগ্ন সোহালা রোড প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্বামী আবু তালহা ইমন, তার পিতা রইছ উদ্দিন, মা স্কুল শিক্ষিকা জুয়েনা আক্তার, প্রতিবেশী তাজুদ আলী, বুলবুল মিয়া, বুদু মিয়া প্রমুখ।
ভুক্তভোগী স্বামী আবু তালহা ইমন মানববন্ধনে বলেন, ২০২২ সালের ৮ আগস্ট ইসলামি শরীয়ত বিধানমতে উপজেলার তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ধূতমা গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে সালমা আক্তারকে দুই লাখ টাকা দেনমোহরনায় বিয়ে করেন। মোহরনার সব টাকা সঙ্গে সঙ্গে কাবিননামায় পরিশোধ করে দেন তিনি। বিয়ের পর তাদের ঔরষে আদিয়া ইবনাত ঊষা নামে একটি কণ্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সন্তান হওয়ার পর থেকে তার স্ত্রী তার সঙ্গে নানা তালবাহানা ও মানুষিক নির্যাতন শুরু করে। গত তিনমাস আগে তার নিজ বাড়ি থেকে কন্যা সন্তানসহ স্ত্রীর বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। বাবার বাড়ি যাওয়ার পর তাকে ফোন দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। তাদের বাড়ি যাওয়ার পর তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্ত্রীসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে মারপিট ও নির্যতন করেন। এক পর্যায়ে বিবাহিত স্ত্রী বলেন বিয়ের আগের দুই লাখ টাকা কাবিননামা হবে না। নতুন করে পুনরায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা কাবিন নামা দিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, নতুবা তার সংসার তিনি করবেন না। এ কথা বলে সে তাকে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন। তার কথা মতো তিনি রাজি না হওয়ায় গত ২৯ আগস্ট হাসপাতাল থেকে ইনজুরি সার্টিফিকেট নিয়ে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন মিথ্যা মামলা করে তার স্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রী বাবার বাড়ি যাওয়ার সময়ে তার ঘর থেকে ৭ ভরি স্বর্ণ এবং নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বাচ্চার মুখের দিকে থাকিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য স্ত্রীর কথা মতো তাদের বাড়িতে নিজ খরচে থাকেন এবং দুই লাখ টাকা স্ত্রীর কাছে জমা রাখেন। তারপরও স্ত্রী এবং তার পরিবারের নির্যাতন থেকে তিনি রেহাই পাননি। তিনি হয়রানি ও নির্যাতন এবং মিথ্যা বানোয়াট মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন।
ভুক্তভোগী ইমনের মা জুয়েনা আক্তার বলেন, তিনি একজন স্কুল শিক্ষিকা। তাকেও এই মিথ্যা মামলায় ছেলের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে। তিনি এই মিথ্যা মামলার তদন্ত এবং অযথা হয়রানি করার বিচার দাবি করেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ