ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক রথীন্দ্র কুমার দাস স্মরণে শোকসভা টিলা কেটে সরকারি জায়গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বহুতল মার্কেট ছয় থানার ওসি বদলি কমিশনকে নজরে রাখবে রাজনৈতিক দলগুলো সালমান-আনিসুল হক ফের রিমান্ডে দেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা দেবে জার্মানি হাওরকে বাঁচতে দিন আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৪৭৬ প্রাণ কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৫ অক্টোবর “অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে, তবে তা সীমাহীন নয়” ইজারাকৃত সব জলমহালের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ পদ হারিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরছেন আ.লীগ নেতারা সাবেক ৩ সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউনেস্কো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ

সুনামগঞ্জে বোরোর বাম্পার ফলনেও পূরণ হয়নি সরকারি ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা

  • আপলোড সময় : ০৯-০৯-২০২৪ ০৮:৪৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৯-২০২৪ ০৮:৪৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জে বোরোর বাম্পার ফলনেও পূরণ হয়নি সরকারি ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা
শহীদনূর আহমেদ :: সুনামগঞ্জে গেল বোরো মওসুমে রেকর্ড পরিমাণ বোরো ধানের বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। সে অনুসারে চলতি বছরে রেকর্ড মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আশানুরূপ। তবুও খাদ্য বিভাগ বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। গত ৭ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১২৮০ টাকা মন প্রতি ধান সংগ্রহের নির্দেশনা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৬৩ ভাগ ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্যবিভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ধানের তুলনায় গুদামের ধারণ ক্ষমতা কম, প্রাকৃতিক বৈরীতা, বন্যা, স্থানীয় পর্যায়ে ধানের দাম বেশি থাকাসহ বিভিন্ন কারণে সুনামগঞ্জে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সুনামগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৯ হাজার ৮১১ মেট্টিক টন। যার মধ্যে নির্ধারিত মূল্যে সংগ্রহ হয় ১৮ হাজার ৮৪০ মেট্টিক টন, যা ৬৩% বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান সংগ্রহ হয়েছে দোয়ারাবাজার উপজেলায় যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৭ শতাংশ। এবং সবচেয়ে কম ধান সংগ্রহ করে তাহিরপুর উপজেলা যা লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ বলে জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ। যার মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সরকারি ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৯৭৫ নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে ১১১৯ মে. টন ক্রয় করে খাদ্য বিভাগ। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ২৮৯৪ মে. টনের মধ্যে ১৯২০ মে. টন। দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৫৩৬ মে. টনের মধ্যে ১৪৯৩ মে.টন। ছাতক উপজেলায় ১৮০৮ মে. টনের মধ্যে ১২১৩ মে. টন। জগন্নাথপুর উপজেলায় ২৬০৮ মে. টনের মধ্যে ১৩৫৩ মে. টন, দিরাই উপজেলায় ৪৭১৮ মে. টনের মধ্যে ২৫৭৪ মে. টন, শাল্লা উপজেলায় ৩৪৯৮ মে. টনের মধ্যে ১৫৮৭ মে. টন, ধর্মপাশা উপজেলায় ১৫০০ মে. টনের মধ্যে ১০১৫ মে. টন। মধ্যনগর উপজেলায় ২৩৯৫ মে. টনের মধ্যে ১৮৩৩ মে. টন। জামালগঞ্জ উপজেলায় ৩১২৬ মে. টনের মধ্যে ২৮৩৮ মে.টন। তাহিরপুর উপজেলায় ২৪৯৮ মে. টনের মধ্যে ১০১৭ মে. টন এবং বিশ্বম্ভপুরে ১২৫৫ মে. টনের মধ্যে ৮৫৫ মে. টন ধান সংগ্রহ করে খাদ্য বিভাগ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম ভূঞা এবার ধানের ভালো ফলন হওয়ায় আমার ধান সংগ্রহের আশানুরূপ বরাদ্দ পেয়েছিলাম। কিন্তু প্রাকৃতিক বৈরীতা বন্যার কারণে ধান সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া স্থানীয় বাজারে ধানের উচ্চ মূল্য ছিল। তাই কৃষকরা গুদামে না এসে স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, সরকারিভাবে ধান ক্রয়ে অন্যতম লক্ষ্য হলো কৃষকরা যাতে ধানের ভালো মূল্য পায়। সরকারের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। কৃষকরা ধানের ভালো মূল্য পেয়েছেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স