সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অকেজো ১০ হাজার নলকূপ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ জামালগঞ্জে যুবদলের কর্মী সমাবেশে কৃষক লীগ নেতা! ‎সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নতুন সভাপতি শামস শামীম, সম্পাদক জসিম মাছশূন্য হাওর, সংকটে জল-জীবিকা ব্রিটিশ-বাংলাবাজার সড়ক বেহাল : দুর্ভোগে হাজারো মানুষ ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হাউসবোটে নেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যটকদের উদ্বেগ বাংলাবাজার ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশ সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের আড্ডা অনুষ্ঠিত ঢাকায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষ অনলাইন জুয়ার ‘হটস্পট’ জাউয়াবাজার প্রতিপক্ষের সুলফির আঘাতে নিহত ১ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে আ.লীগের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ তাহিরপুরে দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ ৬ রাউন্ড গুলিসহ বিদেশি রিভলবার জব্দ ছাতকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরলে কবে থেকে কার্যকর হবে? একটি মহল চেষ্টা করছে গণতান্ত্রিক শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসে : মির্জা ফখরুল

পর্যটন বিকাশের নামে টাঙ্গুয়ার হাওর ভয়াবহ দূষণের শিকার

  • আপলোড সময় : ২৯-০৮-২০২৫ ০৯:১২:১১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৮-২০২৫ ০৯:১২:১১ পূর্বাহ্ন
পর্যটন বিকাশের নামে টাঙ্গুয়ার হাওর ভয়াবহ দূষণের শিকার
অমূল্য সম্পদ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন জীববৈচিত্র্যের ভা-ার টাঙ্গুয়ার হাওর আমাদের জলবায়ু, পরিবেশ ও অর্থনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে পর্যটন বিকাশের নামে এই হাওর ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে। প্রতিদিন হাজারো পর্যটক নৌকা ও হাউসবোট নিয়ে হাওরে ভ্রমণে আসছেন। কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো পরিকল্পনা নেই। প্লাস্টিকের বোতল, খাবারের প্যাকেট, ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক এসব অপচনশীল বর্জ্য নিয়মিত পানিতে ফেলা হচ্ছে। এর সাথে যোগ হয়েছে হাউসবোটের রান্নাঘরের জৈব বর্জ্য এবং সবচেয়ে ভয়াবহ হলো- সেফটি ট্যাংক না থাকায় শত শত পর্যটকের পয়ঃবর্জ্য সরাসরি হাওরের পানিতে মিশে যাচ্ছে। এতে পানির মান দ্রুত নষ্ট হচ্ছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, আর জলজ প্রাণীর জীবনচক্র হুমকির মুখে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইঞ্জিনচালিত নৌকার তেল, সাবান-শ্যা¤পু মিশ্রিত পানি এবং প্লাস্টিক একত্রে হাওরের জন্য নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করছে। ইতিমধ্যে অনেক দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়েছে। একই সাথে পর্যটকদের অসচেতন আচরণের কারণে হাওরের সৌন্দর্যও ক্ষুণœ হচ্ছে। এতে পর্যটনের স্থায়িত্বশীল বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা দেখেছি, প্রশাসন নানা সময়ে অভিযান চালালেও তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ, প্রয়োজনীয় যানবাহন ও সমন্বয়ের অভাব প্রকট। ফলে, যারা হাওর থেকে লাভবান হচ্ছেন, বিশেষ করে হাউসবোট মালিক ও পর্যটন ব্যবসায়ী, তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে প্রকৃতি ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের করণীয় স্পষ্ট- ১. হাউসবোটে সেফটি ট্যাংক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রয়োজনে ডাম্পিং স্টেশন স্থাপন করা জরুরি। ২. প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে হবে। বিকল্প পরিবেশবান্ধব প্যাকেট ও কাপ ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. সচেতনতা কার্যক্রম বাড়াতে হবে। পর্যটক ও স্থানীয়দের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ৪. প্রশাসনের অভিযান নিয়মিত করতে হবে। ৫. স্থানীয় মৎস্যজীবী ও পরিবেশকর্মীদের স¤পৃক্ত করতে হবে। টাঙ্গুয়ার হাওর কেবল প্রাকৃতিক স¤পদ নয়, এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ও জাতীয় ঐতিহ্য। আজ যদি আমরা অবহেলা করি, কাল হয়তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না এই জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তাই সময় এসেছে কথার ফুলঝুড়ি নয়, বরং কঠোর বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স