আইনজীবী আলিফ হত্যা : চিন্ময় ব্রহ্মচারীসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
- আপলোড সময় : ২৬-০৮-২০২৫ ০৯:৫৫:৩১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৬-০৮-২০২৫ ০৯:৫৫:৩১ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও চট্টগ্রাম কোর্টের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। সোমবার (২৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিল করা চার্জশিট গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। শুনানিতে মামলার বাদী ও নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান রিপোর্টে স¤পৃক্ততা না পাওয়ায় এজাহারনামীয় ৩ জনকে এবং সঠিক নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তদন্তে প্রাপ্ত একজনকে অব্যাহতির প্রার্থনা করেছেন। উক্ত ব্যক্তির নাম সুকান্ত দত্ত, যিনি সিএমপির অস্ত্র, মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ ৮টি মামলার আসামি। তদন্ত রিপোর্টেও তাকে দুর্ধর্ষ আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আদালতে আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে সুকান্ত দত্তের স¤পৃক্ততা রয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। ঘটনার পর মূল হত্যাকারীদের সঙ্গে তার ছবি ভাইরাল হয়েছে। সুতরাং তাকে আসামি হিসেবেই অন্তর্ভুক্ত রাখার আবেদন জানানো হয়। আদালত এই আবেদন গ্রহণ করেন।
আদালত সুকান্ত দত্তসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন এবং পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দেন।
এর আগে, গত ১০ আগস্ট আদালত বাদীর উপস্থিতিতে রিপোর্ট শুনানির জন্য সমন জারি করেন। সেই আদেশ মোতাবেক সোমবার মামলার বাদী জামাল উদ্দিন আদালতে হাজির হন এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামি নারাজি দাখিল করবেন না বলে আদালতকে অবহিত করেন।
বর্তমানে চন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ২০ জন আসামি গ্রেফতার আছেন এবং ১৯ জন পলাতক রয়েছেন।
চার্জশিটে বর্ণিত আসামিদের মধ্যে রয়েছে- চন্দন দাশ মেথর, রিপন দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, শুভ কান্তি দাশ, আমান দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত প্রকাশ দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাশ, ওমকার দাশ, বিশাল, লালা দাশ, সামীর, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা মেথর, দুর্লভ দাশ, সুমিত দাশ, সনু দাস, সকু দাশ, ভাজন, আশিক, শাহিত, শিবা দাস ও দ্বীপ দাশ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা দায়ের হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ