স্টাফ রিপোর্টার ::
সস্তায় অধিক পরিমাণ পেঁয়াজ সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাজারের মনোহরি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এছাড়া হাতিয়ে নিয়েছে রসুনও।
ঘটনার পর সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে চক্রটির সদস্যদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। টাকা হাতিয়ে সটকে পড়েছে তারা। এ ঘটনায় প্রতারক চক্রের এক সদস্য শাহিনূর আলমকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, গত চার মাস ধরে ‘মেসার্স আব্দুল্লাহ বাণিজ্যালয়’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কম দামে পেঁয়াজ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারের ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে নামে ওই চক্র। ওই চক্রের হয়ে জব্বার, রফিকুল ইসলাম, মাসুদ এবং শাহিনুরসহ মোট পাঁচজন প্রতারণায় নামেন। নিজেদের বড় ব্যবসায়ী প্রমাণ করতে তারা পলাশ বাজার ও রাধানগরে তিনটি আড়ত ভাড়াও নেয়। ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস অর্জনে শাহিনুর তার সহযোগী রফিকুলকে খালাতো ভাই ও গাজীপুরের বড় ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিতেন। রফিকুলের মাধ্যমে অনেক ব্যবসায়ী লেনদেনে যুক্ত হন। রবিবার (২৪ আগস্ট) চক্রটি বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা নিয়ে সটকে পড়ে। ২৫ আগস্ট বিষয়টি টের পেয়ে তারা ক্ষুব্ধ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রাধানগর পয়েন্টের একটি গুদাম থেকে বিশ্বম্ভরপুরের পাখিজান গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুর আলমকে আটক করে পুলিশে দেন। আটককৃত শাহীনূর চক্রের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। ভাই ভাই স্টোর-এর মালিক আতাউর রহমান জানান, শাহিনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। তারা রসুনের বিনিময়ে পেঁয়াজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা ও ৪০ বস্তা রসুন নেয়। সব মিলিয়ে আমার ৮ লাখ টাকার ক্ষতি করে উধাও হয়ে গেছে প্রতারক চক্র। তাহিরপুরের ব্যবসায়ী তৈমুর চৌধুরী সুহেল বলেন, তাদের আড়ত দেখে বিশ্বাস করে ২২ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। এখন তাদের আর খুঁজে পাচ্ছি না। পালিয়ে গেছে। আটক শাহিনুর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমি শুধু ম্যানেজার ছিলাম। মূলত রফিকুলের প্রস্তাবে যুক্ত হই। ব্যবসার মূল পরিকল্পনা এবং অর্থ লেনদেনে আমি ছিলাম না। সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই অভিজিৎ ভৌমিক জানান, অভিযুক্ত একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha