সড়কে অটোরিকশার দাপট থামাতে পদক্ষেপ প্রয়োজন
- আপলোড সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ১২:০২:১৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ১২:০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

সুনামগঞ্জের সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবাধ চলাচল জনজীবন ও সড়ক নিরাপত্তাকে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৪৭(২) ধারা অনুযায়ী মহাসড়কে এসব যান চলাচল নিষিদ্ধ হলেও বাস্তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনুমোদনহীন, ফিটনেসবিহীন এবং লাইসেন্সবিহীন চালকের হাতে এসব যানবাহন মহাসড়কে দ্রুতগতি সম্পন্ন বাস ও ট্রাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে - ফলে দুর্ঘটনার হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী। এমন পরিস্থিতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকারিতা ও সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। মাঝেমধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী ফল বয়ে আনছে না। বরং অভিযান শেষে পরিস্থিতি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়, যা স্পষ্টতই আইনের শাসন ও প্রশাসনিক নজরদারির ঘাটতি নির্দেশ করে। এখানে আরেকটি উদ্বেগজনক দিক হলো, অভিযানের খবর অনেক সময় আগেই চালকদের কাছে পৌঁছে যাওয়া এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে মালিক-চালকদের যোগসাজশ। উৎকোচ ও প্রভাবের কারণে অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্য বন্ধ হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি শুধু সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে না, বরং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থাকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। আমরা চাই, অবিলম্বে সুনামগঞ্জে মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে কঠোর ও ধারাবাহিক অভিযান চালাতে হবে। শুধুমাত্র মামলা ও জরিমানা নয়, বরং এসব যান জব্দ করে মালিক-চালকের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে সরাসরি অটোরিকশা তুলে দিলে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবিকায় প্রভাব পড়তে পারে, তাই এই বিষয়টিও নীতি নির্ধারণে বিবেচনায় রাখা জরুরি। ‘নিরাপদ সড়ক’ জনগণের অধিকার। প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, পরিবহন মালিক-চালক ও সাধারণ মানুষ, সবাইকে এই ইস্যুতে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। নইলে সড়ক আরও রক্তাক্ত হবে, হারিয়ে যাবে আরও অমূল্য প্রাণ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ