সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শ্মশানঘাটে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বৃক্ষরোপণ
- আপলোড সময় : ০৯-০৮-২০২৫ ০৮:৩৩:০৫ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৯-০৮-২০২৫ ০৮:৩৩:০৫ পূর্বাহ্ন

সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলা টিমের উদ্যোগে শহরের ধোপাখালিস্থ সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শ্মশানঘাটে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী পরিবেশ সচেতনতামূলক কর্মসূচি। শুক্রবার, ৮ আগস্ট দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ, ফুল গাছের চারা রোপণ এবং ডাস্টবিন স্থাপন।
ফাউন্ডেশনের সদস্যরা সকাল থেকেই শ্মশানঘাটের বিভিন্ন স্থানে ঝাড়– দেন ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করেন। পরে শ্মশানঘাট প্রাঙ্গণে বিভিন্ন জাতের ফুল গাছের চারা রোপণ করা হয়। এছাড়াও, সেখানে আগত লোকজনের ব্যবহারের জন্য ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্মশানঘাট পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা সুজিত দাস, যতীন্দ্র মোহন তালুকদার, ফাউন্ডেশনের সুনামগঞ্জ জেলা টিমের সিনিয়র সদস্য অরুণ বৈদ্য অপু, টিম লিডার দুর্জয় দত্ত পুরকায়স্থ, সদস্য মিঠুন তালুকদার, লিকসন বর্মণ, সুব্রত বর্মণ, সাগর দাশ, সেবক দাশ, অমি দাস গুপ্ত, স্বপ্নীল চৌধুরী, নীরব বর্মণ, সুজিত বর্মণ প্রমুখ।
সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলা টিমের টিম লিডার দুর্জয় দত্ত পুরকায়স্থ বলেন, পরিচ্ছন্নতা আমাদের ধর্মীয় এবং সামাজিক দায়িত্ব। শ্মশানঘাটের মতো পবিত্র স্থান পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। আমরা চাই, এ ধরনের জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে পড়–ক।
সংগঠনের সিনিয়র সদস্য অরুণ বৈদ্য অপু বলেন, পরিবেশ রক্ষা এবং ধর্মীয় স্থানের মর্যাদা রক্ষার উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এই কর্মসূচি তারই অংশ। ভবিষ্যতেও আমরা এরকম সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই।
কেন্দ্রীয় শ্মশান পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা সুজিত দাশ বলেন, “সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলা টিমের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। শ্মশানঘাট আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই ধরনের স্থানগুলো অনেক সময়ই অবহেলিত থাকে। আজকে যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ফুলের চারা রোপণ ও ডাস্টবিন স্থাপন হয়েছে - তা শুধু পরিবেশ রক্ষায় নয়, বরং মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আমি শ্মশানঘাট পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এই মহতী উদ্যোগে যুক্ত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই। ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরনের কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি যতীন্দ্র মোহন তালুকদার বলেন, এটি শুধু একটি সেবা নয়, এটি একটি ধর্মীয় কর্তব্যও বটে। নতুন প্রজন্মকে এরকম কাজে অংশ নিতে দেখে আমরা খুবই আনন্দিত। ফাউন্ডেশনকে এ ধরণের মহৎ উদ্যোগের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ