যাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি বেলা’র
- আপলোড সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ০৮:২৯:৪১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ০৮:২৯:৪১ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর জীবন প্রবাহকে মরণ ফাঁদে ফেলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় বৃহ¯পতিবার (৭ আগস্ট) বেলা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ জানিয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
এতে জানানো হয়, যাদুকাটা নদীর জীবনধারাকে রক্ষার জন্য ২০১০ সালে দায়ের করা একটি রিটের ভিত্তিতে আদালত নদী থেকে বালু উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট ২০১৯ সালে এক আদেশে পুনরায় নদী থেকে যেকোনও ধরনের বালু ও পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করেন। এছাড়া, বালুমহাল আইন অনুসারে অনুমোদন ব্যতিরেকে যেকোনও উত্তোলন বেআইনি।
বেলা জানায়, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় এখনও দৈনিক শতাধিক ট্রাক বালু নদী থেকে তোলা হচ্ছে। বৃহ¯পতিবার (৭ আগস্ট) পর্যবেক্ষণ দল যাদুকাটা নদী এলাকায় বালু উত্তোলনের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখেছেন। তারা দেখেছেন, নদী থেকে এখনও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে এবং নদীর পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পা¤প বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে, যার ফলে নদীর স্বাভাবিক গঠন, জলজ প্রাণী এবং আশপাশের বসবাস বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
বেলা অভিযোগ করেছে, একসময় এই নদী দিয়ে পাথর কোয়ারির ইজারা দেওয়া হতো। কিন্তু ২০০৫ সালের পর থেকে ইজারা না থাকলেও নদী থেকে অবৈধ উত্তোলন চলছে। বিশেষ করে বালুমহাল-১, বালুমহাল-২ নামে অবৈধ মহাল ঘোষণা দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে, যা স¤পূর্ণ বেআইনি।
বেলাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, সরকারি নীতির পরিপন্থি এই কর্মকা- পরিবেশ, নদী, নদীর তলদেশ এবং আশপাশের কৃষিজমিকে মারাত্মক ক্ষতি করছে। এই এলাকায় দুটি ইজারা না থাকার পরও নিয়মিত বালু উত্তোলন হচ্ছে, যা আদালতের আদেশের লঙ্ঘন।
বেলার দাবিগুলো হচ্ছে :
যাদুকাটা নদী থেকে সব ধরনের বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নদী দখল ও উত্তোলনের ফলে যে পরিবেশগত ক্ষতি হয়েছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার করতে হবে। নদী রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
এ জন্য ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানি স¤পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট মোট ১৪ জনকে চিঠি দিয়েছে বেলা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ