সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫ , ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ র‌্যাবের অভিযানে ভারতীয় ২৭২ বোতল মদ জব্দ যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারা দেশের শত্রু : কয়ছর এম আহমদ প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : কয়ছর এম আহমদ বিশ্বম্ভরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শান্তিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয় : তারেক রহমান সত্যশব্দের বর্ষার আয়োজন ‘বাদল গেছে টুটি’ দিরাই থানা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকের ফ্যামিলি গ্যাদারিং অনুষ্ঠিত জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে : কয়ছর এম আহমেদ জামালগঞ্জে উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাহিরপুরে তোপের মুখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শান্তিগঞ্জে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা জাতি-ধর্মে ভেদাভেদ থাকবে না, এই দেশ সবার : সেনাপ্রধান বর্ণাঢ্য আয়োজনে জন্মাষ্টমী উদযাপিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৬ লেনের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবি সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের ‘সাহিত্য আড্ডা’ অনুষ্ঠিত

সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামবে কবে?

  • আপলোড সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ০৮:০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ০৮:০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামবে কবে?
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকসার সংঘর্ষে দুই তরুণ শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি এই দেশের রক্তমাখা সড়ক-বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। গত ৬ আগস্ট দুপুরে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় অকালেই ঝরে গেলো তিনটি জীবন, যাদের প্রত্যেকেই কোনো না কোনো পরিবারের স্বপ্নের প্রতীক ছিলেন। নিহত আফসানা জাহান খুশি এবং ¯েœহা চক্রবর্তী - উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে উচ্চশিক্ষায় পথ চলা শুরু করেছিল। আর শফিকুল ইসলাম ছিলেন কর্মজীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছানো একজন অভিজ্ঞ মানুষ। একটি অটোরিকসায় থাকা এই যাত্রীদের জীবনের গতি থেমে গেলো সড়কের অব্যবস্থাপনা, বেপরোয়া গতির বাস, ও দায়িত্বজ্ঞানহীন চালকদের কারণে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ তথ্য বলছে, সিলেটগামী বাসটি সোজা ধাক্কা দিয়েছে বিপরীতমুখী সিএনজিকে। সংঘর্ষের তীব্রতায় অটোরিকসাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু, আহত দুজনের একজন চালক - এ চিত্র কতটা ভয়াবহ, তা সহজেই অনুমেয়। অথচ প্রতিবারের মতোই, চালক ও সহকারী দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। এই দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে এমন সড়ক দুর্ঘটনা, যাতে নিহত ও আহত হচ্ছেন নিরীহ যাত্রীরা। এসব ঘটনার প্রায় সব কটিতেই জড়িত থাকে বেপরোয়া চালক, নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন এবং দায়হীন মালিকপক্ষ। অবাক করার বিষয় হচ্ছে- বারবার এত মৃত্যু ঘটলেও কার্যকর কোনো শাস্তি হয় না। আইন আছে, তবে প্রয়োগ নেই। মানবিক বোধের জায়গা থাকলেও নেই রাষ্ট্রীয় জবাবদিহি। আমরা জোরালোভাবে বলতে চাই, এখন আর কেবল শোক প্রকাশে কিছু হবে না। এখন প্রয়োজন কঠোর ব্যবস্থা। প্রথমত, দুর্ঘটনায় দায়ী চালক ও মালিকপক্ষকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রয়োজন দক্ষ চালকের লাইসেন্স প্রদান ও কঠোর নজরদারি। তৃতীয়ত, সড়কে যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহনের গতি সীমা বাস্তবায়নে প্রযুক্তি ব্যবহারসহ পুলিশের উপস্থিতি বাড়াতে হবে। চতুর্থত, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে একটি দ্রুত বিচার ও সহায়তা সেল গঠন করতে হবে। পরিবারের কাছে হয়তো একমাত্র সন্তান ছিল আফসানা কিংবা ¯েœহা। আজ তারা নেই। এই ক্ষতিপূরণ শুধু আর্থিক নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় দায়। সড়কে মৃত্যু যেন নিয়তি না হয় - এ দাবি আমাদের সকলের। সুনামগঞ্জবাসীসহ দেশের সচেতন নাগরিকদের পক্ষে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি: আর কত প্রাণ গেলে আপনারা জাগবেন?

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা

লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা